স্কুলের সিলেবাস হেফাজতিকরণ করা হয়েছে, স্যেকুলার মহলের এই অভিযোগের ভিত্তি আছে কি?

স্যেকুলারেরা হাহাকার করেছিল এই বলে যে, সরকারী পাঠ্যক্রমকে হেফাজতিকরন করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ ছিল হেফাজত বেছে বেছে হিন্দু লেখকদের লেখা বাদ দেয়ার সুপারিশ করেছে।

সম্ভবত স্যেকুলারেরা কখনো দেখেনি কওমি মাদ্রাসা নিজেরা কী বাঙলা পড়ায়। কওমি মাদ্রাসাগুলোতে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত নিজেদের বই নিজেরাই রচনা করে এবং বেফাক সেগুলো ছাপায়। এই বইগুলো লেখেন কওমি ঘরানার বরেণ্য আলেমরাই।

আমি বেফাক থেকে কওমি মাদ্রাসার পাঠ্য ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত বাঙলা বই সংগ্রহ করেছি। এবং আমার বিশ্বাস স্যেকুলারেরা যে বই লিখে তার চাইতে অনেক ভালো হয়েছে এই বইগুলো।

প্রথম শ্রেণীতে তারা প্রথম যেই কবিতা পড়ে সেটা রবীন্দ্রনাথের “ছুটি”, দ্বিতীয় কবিতা কাজী নজরুলের “ভোর হোল”, তৃতীয় কবিতা জসীমউদ্দিনের “মামার বাড়ী।

দ্বিতীয় শ্রেণীতে আরো অনেক কবিতার সাথে পড়ে মদনমোহন তর্কালংকারের “আমার পণ”, রবীন্দ্রনাথের “আমাদের ছোট নদী, রজনীকান্ত সেনের “স্বাধীনতার সুখ”, নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের “কাজের লোক”।

তৃতীয় শ্রেণীতে কুসুমকুমারী দাশের “কাজের ছেলে”

চতুর্থ শ্রেণীতে, কালিদাস রায়ের “মাতৃভক্তি”, যতীন্দ্রমোহন বাগচীর “কাজলা দিদি”।

পঞ্চম শ্রেণীতে, সুনির্মল বসুর “সবার আমি ছাত্র”, জগদীশ্চন্দ্র বসুর “গাছের জীবন কথা”, সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের অনুদিত “উত্তম অধম”।

স্যেকুলারেরা যে দাবী করেছিল, হেফাজতিকরন মানে, হিন্দু বিদ্বেষ থেকে পাঠ্য বই থেকে বেছে বেছে হিন্দু লেখকদের লেখা বাদ দেয়া। তাহলে তারা নিজেরা কেন তাদের লেখা পাঠ্য বইয়ে এতো হিন্দু লেখকদের লেখা নিজেরাই লিখেছে?

জবাব আছে তাদের কাছে?

Share

One thought on “স্কুলের সিলেবাস হেফাজতিকরণ করা হয়েছে, স্যেকুলার মহলের এই অভিযোগের ভিত্তি আছে কি?

Leave a Reply to Sanjit Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Feeling social? comment with facebook here!

Subscribe to
Newsletter