এক সুবিখ্যাত নাস্তিক লিখেছিল, আমরা (!) বর্তমানকালের ভারতে মুসলিম নিগ্রহ নিয়ে যতখানি উচ্চকিত ততখানি মুসলমান শাসনে ভারতে ভিন্ন ধর্মের নিগ্রহ নিয়ে উচ্চকিত নই। ইতিহাস খুড়ে ক্ষত খোঁজার চেস্টাকে স্বাগত জানাই। কিন্তু তারা কেন মুসলমান শাসনে এসেই থেমে যায় সেটা বুঝতে পারিনা। ইতিহাস খুড়ে এর আগের ব্রাহ্মণ্য অত্যাচারের প্রসঙ্গ পর্যন্ত কেন যেতে চাননা। ব্রাহ্মণ্যবাদ সম্পর্কে এই নাস্তিকদের এক প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয়ের ধারা লক্ষ্য করে বিনোদিত হই।
কেনই বা তারা বৌদ্ধদের গনহত্যার কথা তুলতে চাননা। কেন গৌতম বুদ্ধের স্মৃতি ধন্য বোধি বৃক্ষ উৎপাটন পর্যন্ত যেতে চান না। কেন প্রশ্ন তোলেন না, কার জন্য বৃহৎ বঙ্গে যেই ধর্ম জন্ম নিল, সেই ধর্মকে বঙ্গে টিকতে দেয়া হলনা। কেন জিজ্ঞেস করেন না, যেই ভারত একসময় বৌদ্ধ ভারত ছিল সেই ভারতের মাটি থেকে বৌদ্ধদের পালিয়ে বাঁচতে হল। কার আতঙ্কে তারা পাহাড় পর্বত ডিঙ্গিয়ে চিন, তিব্বত, মায়ানমারে আশ্রয় নিল?
যারা ভারত এবং বাঙলায় মুসলিম শাসনের মরাল জাজমেন্ট করতে আসেন তারা নিজের রক্তাক্ত হাতের দিকে তাকালে সবার উপকার হয়। নিজেকে প্রশ্ন করেন মরাল জাজমেন্ট করার কোন নৈতিক অধিকার আছে কি আপনার?
মুসলমান শাসকেরা যদি ব্রাহ্মণ্যবাদীদের করা বৌদ্ধ নিপীড়নের ভগ্নাংশ হিন্দুদের উপর চালাতো; তাহলে ভারতবর্ষ আজকে মুসলিম ভারত হিসেবে পরিচিত হত। এটা মুসলমান শাসকেরা করেনি মানবিকতার কথা চিন্তা করে নয়, বরং কাণ্ডজ্ঞানের কারণে।
2 thoughts on “কেন তারা বৌদ্ধদের গনহত্যার কথা তুলতে চায় না?”
যুক্তিসঙ্গত লেখার জন্য ধন্যবাদ।
‘কান্ডজ্ঞান’ এটা কি একটু ব্যাখ্যা করবেন?