Naipaul’s entirely negative
understanding of India’s Islamic
history has its roots in the
mainstream imperial
historiography of Victorian
Britain. -William Dalrymple
ভি এস নাইপল সমসাময়িক ইংরেজি সাহিত্যের একজন প্রথিতযশা লেখক। ২০০১ সালে নোবেল প্রাইজ দেবার সময় সুইডিশ নোবেল একাডেমী তার সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছিল, তার লেখা “perceptive narrative and incorruptible scrutiny”। অনেক লিটারারি ক্রিটিক অবশ্য বলেছেন তিনি নোবেল পেয়েছেন কারণ তিনি নির্দয়ভাবে ইসলাম, মুসলমান এবং তৃতীয় বিশ্বকে আক্রমণ করেছেন। জুডিথ গ্যাব্রিয়েল ২০০১ সালেই লিখেছিলেন। (Naipaul has) “attacked Islam and so won this year’s Nobel prize for literature”। মীনা কান্দাস্বামী লিখেছিলেন ইসলাম ও তৃতীয় বিশ্ব সম্পর্কে বিষোদ্গার করার স্বীকৃতি হিসেবেই তাকে নোবেল প্রাইজ দেয়া হয়েছে। ডেরেক ওয়ালকট, নিসিম ইজিকেইল, এডয়ার্ড সাইদ, উইলিয়াম ডালরিম্পেল, ইজাজ আহমেদ ও নাইপলকে একই অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিয়ে নাইপল লিখেছেন, “history is built around achievement and creation; and nothing was created in the West Indies”। নিজের দেশ ত্রিনিদাদ সম্পর্কে লিখেছেন, “I knew Trinidad to be unimportant, uncreative and cynical”।তৃতীয় বিশ্ব সম্পর্কে নাইপলের মত হচ্ছে এরা “are half-made societies doomed to remain half-made” আর “Africa has no future”। ১৯৭৯ এ লেখা A Bend in the River এ নাইপল দাসদের সম্পর্কে লিখেছেন, “Slave peoples are physically wretched, half-men in everything except in their capacity to breed the next generation”।
১৯৬২ তে তিনি ভারত সফরে আসেন, তার উপরে ভিত্তি করে ১৯৬৪ তে লেখা An Area of Darkness এ তিনি ভারতকে দেখেন এক অন্ধকার জগত হিসেবে। তিনি ভারতকে বলেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় বস্তি আর ভারতে তিনি কিছুই দেখেন না শুধু দেখেন সবাই যত্রতত্র পায়খানা করে বিশেষ করে রেল লাইনের ধারে পায়খানা করে। India: A Wounded Civilization এ ভারতকে তিনি দেখেন এক “আহত সভ্যতা” হিসেবে এবং এই ক্ষত তৈরি করেছে মুসলমান আগ্রাসন; এই মুসলমান আগ্রাসনই ভারতের সভ্যতাকে আহত করেছে বলে তার দাবী। ভারতের মুসলিম শাসনের ন্যারেটিভ তার কাছে বিজেপি আর সংঘ পরিবারের ন্যারেটিভের মতই, তিনি মুসলমান শাসনের সময়কে বলেন, “force looting the temples of Hindustan and imposing the faith upon the infidel” মুসলমান শাসনের পরে ভারতের বৃটিশ কলোনিয়াল শাসন ছিল নাইপলের মতে পুনরিজ্জীবনের সময়। তিনি বৃটিশ শাসনের পরে হিন্দু ভারতের উত্থানের আশায় আরো লেখেন “finally through the unlikely British presence in India, a Hindu India had grown again, more complete and unified than any India in the past”।
নাইপল ভারতের হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির ঘনিষ্ঠ, এমনকি বিজেপির কেন্দ্রীয় অফিসও তিনি পরিদর্শন করেছেন। শুধু তাই নয় হিন্দুত্ববাদী জঙ্গিত্বকে উতসাহিত ও সমর্থন করে তিনি আউটলুকে একটি সাক্ষাতকার দেন সেখানে তিনি বলেন, “To say that India has a secular character is being historically unsound. Dangerous or not, Hindu militancy is a corrective to the history I have been talking about. It is a creative force and will be so. Islam cannot reconcile with it”. (Outlook, November 15, 1999)
অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধংসের পর তিনি বলেছেন,” “Ayodya is a passion. Any passion is to be encouraged. Passion leads to creativity”. Beyond Belief এ তিনি ইসলামে মৌলবাদের উত্থানকে বলেছেন “element of neurosis and nihilism” যার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পাকিস্তান, ইরান, ইন্দনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ার কনভার্টেড মুসলিমদের “irrational behavior” । এই নন আরব মুসলমান জনগোষ্ঠী তার ভাষায় কেন ইরর্যাশন্যাল? তার উত্তরে তিনি লিখছেন, “Everyone not an Arab who is Muslim is a convert. Islam is not simply a matter of conscience or private belief. It makes imperial demand. A convert’s world view alters. His holy places are in Arab lands; his sacred language is Arabic. His idea of history alters. He rejects his own; he becomes, whether he likes or not, a part of Arab history”। এর উত্তরে এডোয়ার্ড সাইদ লেখেন, কে কনভার্টেড নয়? জাপানের বৌদ্ধরা কনভার্টেড বুদ্ধিস্ট নয়? অ্যামেরিকান খ্রিস্টানেরা কনভার্টেড খ্রিস্টান নয়? যেকোন প্রফেটিক রিলিজিওনই তো কনভার্ট করেছে, সেটা বৌদ্ধ, ইসলাম, ইহুদী, খ্রিস্টান সব ধর্মই করেছে।
পাশ্চাত্য সভ্যাতাই নাইপলের কাছে ইউনিভার্সেল সভ্যতা, পৃথিবীর সব মানুষের যা আলিঙ্গন করা উচিত। সভ্যতার পশ্চিমমুখী রেইসিস্ট ন্যারেটিভ যার বয়ানে সেই নাইপল বাংলাদেশের স্যেকুলার লিবারেলদের লিটারারি আইকন হবে, এ আর বিচিত্র কী?
ভি এস নাইপল সমসাময়িক ইংরেজি সাহিত্যের একজন প্রথিতযশা লেখক। ২০০১ সালে নোবেল প্রাইজ দেবার সময় সুইডিশ নোবেল একাডেমী তার সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছিল, তার লেখা “perceptive narrative and incorruptible scrutiny”। অনেক লিটারারি ক্রিটিক অবশ্য বলেছেন তিনি নোবেল পেয়েছেন কারণ তিনি নির্দয়ভাবে ইসলাম, মুসলমান এবং তৃতীয় বিশ্বকে আক্রমণ করেছেন। জুডিথ গ্যাব্রিয়েল ২০০১ সালেই লিখেছিলেন। (Naipaul has) “attacked Islam and so won this year’s Nobel prize for literature”। মীনা কান্দাস্বামী লিখেছিলেন ইসলাম ও তৃতীয় বিশ্ব সম্পর্কে বিষোদ্গার করার স্বীকৃতি হিসেবেই তাকে নোবেল প্রাইজ দেয়া হয়েছে। ডেরেক ওয়ালকট, নিসিম ইজিকেইল, এডয়ার্ড সাইদ, উইলিয়াম ডালরিম্পেল, ইজাজ আহমেদ ও নাইপলকে একই অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিয়ে নাইপল লিখেছেন, “history is built around achievement and creation; and nothing was created in the West Indies”। নিজের দেশ ত্রিনিদাদ সম্পর্কে লিখেছেন, “I knew Trinidad to be unimportant, uncreative and cynical”।তৃতীয় বিশ্ব সম্পর্কে নাইপলের মত হচ্ছে এরা “are half-made societies doomed to remain half-made” আর “Africa has no future”। ১৯৭৯ এ লেখা A Bend in the River এ নাইপল দাসদের সম্পর্কে লিখেছেন, “Slave peoples are physically wretched, half-men in everything except in their capacity to breed the next generation”।
১৯৬২ তে তিনি ভারত সফরে আসেন, তার উপরে ভিত্তি করে ১৯৬৪ তে লেখা An Area of Darkness এ তিনি ভারতকে দেখেন এক অন্ধকার জগত হিসেবে। তিনি ভারতকে বলেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় বস্তি আর ভারতে তিনি কিছুই দেখেন না শুধু দেখেন সবাই যত্রতত্র পায়খানা করে বিশেষ করে রেল লাইনের ধারে পায়খানা করে। India: A Wounded Civilization এ ভারতকে তিনি দেখেন এক “আহত সভ্যতা” হিসেবে এবং এই ক্ষত তৈরি করেছে মুসলমান আগ্রাসন; এই মুসলমান আগ্রাসনই ভারতের সভ্যতাকে আহত করেছে বলে তার দাবী। ভারতের মুসলিম শাসনের ন্যারেটিভ তার কাছে বিজেপি আর সংঘ পরিবারের ন্যারেটিভের মতই, তিনি মুসলমান শাসনের সময়কে বলেন, “force looting the temples of Hindustan and imposing the faith upon the infidel” মুসলমান শাসনের পরে ভারতের বৃটিশ কলোনিয়াল শাসন ছিল নাইপলের মতে পুনরিজ্জীবনের সময়। তিনি বৃটিশ শাসনের পরে হিন্দু ভারতের উত্থানের আশায় আরো লেখেন “finally through the unlikely British presence in India, a Hindu India had grown again, more complete and unified than any India in the past”।
নাইপল ভারতের হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির ঘনিষ্ঠ, এমনকি বিজেপির কেন্দ্রীয় অফিসও তিনি পরিদর্শন করেছেন। শুধু তাই নয় হিন্দুত্ববাদী জঙ্গিত্বকে উতসাহিত ও সমর্থন করে তিনি আউটলুকে একটি সাক্ষাতকার দেন সেখানে তিনি বলেন, “To say that India has a secular character is being historically unsound. Dangerous or not, Hindu militancy is a corrective to the history I have been talking about. It is a creative force and will be so. Islam cannot reconcile with it”. (Outlook, November 15, 1999)
অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধংসের পর তিনি বলেছেন,” “Ayodya is a passion. Any passion is to be encouraged. Passion leads to creativity”. Beyond Belief এ তিনি ইসলামে মৌলবাদের উত্থানকে বলেছেন “element of neurosis and nihilism” যার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পাকিস্তান, ইরান, ইন্দনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ার কনভার্টেড মুসলিমদের “irrational behavior” । এই নন আরব মুসলমান জনগোষ্ঠী তার ভাষায় কেন ইরর্যাশন্যাল? তার উত্তরে তিনি লিখছেন, “Everyone not an Arab who is Muslim is a convert. Islam is not simply a matter of conscience or private belief. It makes imperial demand. A convert’s world view alters. His holy places are in Arab lands; his sacred language is Arabic. His idea of history alters. He rejects his own; he becomes, whether he likes or not, a part of Arab history”। এর উত্তরে এডোয়ার্ড সাইদ লেখেন, কে কনভার্টেড নয়? জাপানের বৌদ্ধরা কনভার্টেড বুদ্ধিস্ট নয়? অ্যামেরিকান খ্রিস্টানেরা কনভার্টেড খ্রিস্টান নয়? যেকোন প্রফেটিক রিলিজিওনই তো কনভার্ট করেছে, সেটা বৌদ্ধ, ইসলাম, ইহুদী, খ্রিস্টান সব ধর্মই করেছে।
পাশ্চাত্য সভ্যাতাই নাইপলের কাছে ইউনিভার্সেল সভ্যতা, পৃথিবীর সব মানুষের যা আলিঙ্গন করা উচিত। সভ্যতার পশ্চিমমুখী রেইসিস্ট ন্যারেটিভ যার বয়ানে সেই নাইপল বাংলাদেশের স্যেকুলার লিবারেলদের লিটারারি আইকন হবে, এ আর বিচিত্র কী?