পূর্ব পাকিস্তানের মুসলিম লীগকে পরাজিত করার উদ্দ্যেশ্যে আওয়ামী লীগ, শেরে বাঙলার কৃষক শ্রমিক পার্টি, সোহরাওয়ার্দি, গণতন্ত্রী দল, নেজামে ইসলাম পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), খেলাফত রব্বানী পার্টি একসাথে ঐক্য গড়ে নির্বাচন করে। এই ফ্রন্ট হক-ভাসানী-সোহরাওয়ার্দির যুক্তফ্রন্ট নামে পরিচিতি পায়।
যুক্তফ্রন্ট বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়। সিপিবি এই বিজয়ের গল্প এখনো তারিয়ে তারিয়ে বলে।
আমার আলাপ সেইটা না। এই যুক্তফ্রন্টের একটা সর্বসন্মত ঘোষণা ছিল, যার নাম ছিল ২১ দফা।
এই ২১ দফা প্রকাশিত হয় ১৯৫৩ র ডিসেম্বরে। এই ২১ দফার নীতি কী ছিল জানেন? ২১ দফার প্রথমেই সেটা লেখা ছিল, যেখানে “সিপিবি” একমত হয়েছিল। আজ অবাক হবেন সেই নীতি পড়ে।
২১ দফার নীতিঃ কোরান ও সুন্নার মৌলিক নীতির খেলাফ কোন আইন প্রণয়ন করা হইবেনা এবং ইসলামের সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে নাগরিকগণের জীবন-ধারণের ব্যবস্থা করা হইবে।
ইন্টারেস্টিং নয় কি?
সূত্র: বাংলাদেশের রাজনীতি প্রকৃতি ও প্রবনতাঃ ২১-দফা থেকে ৫-দফা; সমাজ বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র, জুন ১৯৮৭; পৃষ্ঠা ১২৭।