পুর্ববংগের বাঙালি আর পশ্চিমবংগের বাঙালির মধ্যে রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হিসেবে মৌলিক তফাত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ নির্বিবাদে হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মেনে নিয়েছে পুর্ববংগ উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা মানেনি।
এই বাংলাদেশে হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বলে যায় বাংলাদেশে হিন্দি ভাষার ভবিষ্যৎ উজ্বল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন প্রতিবাদ হয়না। ভারত যেভাবে একতরফা আমাদের আকাশ সংস্কৃতির দখল নিয়ে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালিয়েছে তাতে আমাদের নাগরিকেরা বিনোদন নামের বস্তাপচা হিন্দি ভাঁড়ামো দেখতে বাধ্য হচ্ছে। আমাদের কোন ভাষার বিরুদ্ধে আলগা বিরাগ নাই। কিন্তু আমাদের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য আমাদের দরকার শক্তিশালী ইংরেজি ও ম্যান্ডারিন ভাষী জনগন, হিন্দিভাষী জনগন নয়। হিন্দি জেনে, হিন্দিতে কথা বলে আমাদের কোন ফায়দা নাই। ভারতে গিয়া হিন্দিভাষী ট্যাক্সিওয়ালা আর মুদিখানার দোকানদারের সাথে কথা বলার কাজ চলতে পারে।
শ্রিংলার দেশের আপামর জনগন হিন্দিই বলে, তাদের ভাগ্য বদলায়নি। তারা সিলিকন ভ্যালিতে কাজ করেনা। কাজ করে ইংরেজি জানা ভারতীয়রা। তো আমরা কেন তাদের দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীরা ভাষার ভবিষ্যৎ উজ্বল করবো?
শ্রিংলার এই বক্তব্য জোরালো প্রতিবাদ ছাড়া ছেড়ে দেয়া যায়না। এই প্রতিবাদ ভার্চুয়াল নয় মাঠের প্রতিবাদ হতে হবে।
আপনারাই বলুন, আমরা শ্রিংলার ধৃষ্টতাপুর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে কীভাবে একটা শক্ত বার্তা দিতে পারি। কোন তরিকায় প্রতিবাদ করা যায়? আপনাদের মতামত চাই।
One thought on “শ্রিংলার ধৃষ্টতাপুর্ণ বক্তব্যের ভার্চুয়াল নয় মাঠের প্রতিবাদ হতে হবে।”
শ্রিংলার প্রতি পরমানু বোমা নিক্ষেপ করা যেতে পারে! শ্রীমান ভটভটি দাদা কে এ দায়িত্ব টা দেওয়া হোক!