“শহীদ” শব্দটা আমরা ইসলামের ঐতিহ্য থেকে ধার করেছি। এটা সর্বোত্তম সন্মানের মৃত্যু। এই মৃত্যু সৌভাগ্যের, কারণ জাতি, সমাজ বা রাষ্ট্র শহীদি মৃতকে সকলের তরফ থেকে গ্রহণ করে; সে অমরত্ব পায়। শহীদি মৃত্যু তখনই মহান যখন সেই শহীদের আত্মত্যাগের উত্তরাধিকার হয় সেই সমাজ, জাতি বা রাস্ট্রের সবাই।
শহীদের একটা বায়োলজিক্যাল জীবন ও থাকে। সেখানে তার প্রিয়জনেরা থাকে, সেই হিসেবে সেই পরিবারের কাছে শহীদের মৃত্যু একটা ব্যক্তিগত শোকের বিষয় ও বটে। কিন্তু তাই বলে শহীদের বায়োলজিক্যাল পরিবারের শহীদের আইকনিক এনটিটিতে তার আলাদা কোন উত্তরাধিকার জন্মায় না। সেটা জন্মালে শহীদ শব্দটা তার তাৎপর্য হারায়। এটা করতে গেলেই সে, শহীদি মৃত্যুকে তার সামস্টিক উত্তরাধিকার থেকে ছিন্ন করে পরিবারের সম্পদ বানায়। এভাবে শহীদি মৃত্যু তার মর্যাদা হারাতে থাকে। শহীদের আদর্শিক উত্তরাধিকারে তার বায়োলজিক্যাল পরিবারের ততটুকুই হিস্যা যতটুকু হিস্যা তার একজন সহ নাগরিকের।
শহীদের পুত্র বা কন্যা হইয়া আপনি দেশের তাবৎ মানুষের মাথা কিনা নেন নাই জনাব। আপনার পিতার বা মাতার মৃত্যুর পরেও আমরা আরো অনেকরেই শহীদের মর্যাদা দিছি। সেই শহীদেরা যখন তার প্রিয়তম সম্পদ মানুষের লাইগ্যা বিলায়া দিতেছিল, তখন তো সোমত্ত এবং দামড়াই আছিলেন। সেই লড়াইয়ে থাকেন নাই কেন? আপনার বাপের বা মায়ের মতো গৌরবের মৃত্যুর আকাংখ্যা আপনারে পাগল কইর্যা দেয় নাই কেন?
বটম লাইন হইলো, আপনার বাপ বা মা পারছিল, তাই তারে আমরা গ্রহণ কইর্যা আইকন বানাইছি। আপনি ভীতু, প্রাণ দিবার সাহস বা হিম্মত নাই তাই আপনি আপনার বাপের বা মায়ের শহীদি মৃত্যুর একটা গ্রেইটার শেয়ার নিয়া আপনার ভীরুতা ঢাইক্যা একটা শহীদি অভিজাততন্ত্র বানাইতে চান। সরি ভাইজান ও বুবুজান, শহীদি মৃত্যুর গৌরব রক্তে প্রবাহিত হয়না।
লেখাটির ফেইসবুক ভার্সন পড়তে চাইলে এইখানে ক্লিক করুন