প্রভু, বিষম সমস্যায় পড়িয়াছি।
সমস্যায় পড়িলেই আমার নিকট আসিতে হইবে? ভগবান জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে চাহিলেন।
আপনিই তো বলিয়াছেন, সমস্যায় পড়িলেই আপনাকে স্মরণ করিতে। আপনার নিকট নাকি সব সমস্যার সমাধান আছে?
এখন কী সমস্যা?
প্রভু, সমস্যা তো শেষ বিচার লইয়া।
তোর আবার শেষ বিচার কী? তুই অক্ষয় নরকে অনন্তকাল দগ্ধ হইবি। বিশ্বকর্মাকে তোর সাইজে বিশেষ কড়াই বানাইবার নির্দেশ দেয়া আছে। তোকে গরম তেলে ভাজা হইবে।
এইটাই তো আপনার সমস্যা, বিচারের আগে রায় বানাইয়া বসিয়া আছেন। আমি উহা মানি না।
কী করিতে হইবে?
আমার বিচার স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানের হইতে হইবে।
কীভাবে?
আমার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিবে কে? আমি জিজ্ঞাসা করিলাম।
তোর আমলনামা লিখিতেছে যাহারা।
উহারা তো আপনার বেতনভোগী, তাহা হইলে উহারা নিরপেক্ষ হইল কীভাবে?
তোর হস্ত, পদ, তোর সমূহ অঙ্গ তোর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে।
উহারা তো আপনার সৃষ্টি, নিরপেক্ষ হইল কীভাবে? আমাকে সাফাই সাক্ষী আনিবার সুযোগ দিতে হইবে।
কে তোর সাফাই সাক্ষী?
আপাতত প্রভু, ৫০ হাজার কোটি, পরে প্রয়োজনে বৃদ্ধি করা হইবে।
এই ৫০ হাজার কোটি সাফাই সাক্ষী তোকে চিনিবে? উহারা কী সাক্ষ্য দিবে।
উহারা সাক্ষ্য দিবে যে, তাঁহারা আমাকে কোন অন্যায় করিতে দেখে নাই।
আর?
আমাকে একটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক আইনজ্ঞের সমন্বয়ে আইনজীবী প্যানেলের নিয়োগ দিবার অধিকার দিতে হইবে।
আর?
আমাকে আপীলের এবং বিশেষ ক্ষমার সুযোগ দিতে হইবে।
আপীল কাহার কাছে করিবি, বিশেষ ক্ষমা কে করিবে?
উহা তো আমার সমস্যা নহে, আপনি স্থির করিবেন যে, নিম্ন আদালত নাকি উচ্চ আদালতের বিচারক হইবেন। যতদিন পর্যন্ত এইসব বিষয়ের ফয়সালা না হইতেছে ততদিন পর্যন্ত আমি স্বর্গলোকে মৌরসিপাট্টা গাড়িয়া থাকিব।
হঠাৎ মনে হইল শরীরে অজস্র চুত্রা পাতা ডলিয়া দেয়া হইয়াছে। চুলকাইতে চুলকাইতে জামা খুলিয়া ফেলিলাম, কিন্তু আশেপাশে অপ্সরাদিগের আনাগোনায় প্যান্ট খুলিতে পারিলাম না। চুলকানির অসহ্য যন্ত্রণায় ঘামিতে ঘামিতে জ্ঞান হারাইলাম।