বাংলাদেশের চিকিৎসকদের একাংশ ফ্যাসিবাদের সক্রিয় কর্মি হয়ে উঠেছে। মানুষের চিকিৎসার অধিকারকে তারা অবলীলায় পদদলিত করছে। আমরা এই কোটা সংস্কার আন্দোলনে এক নতুন ফেনোমেনন দেখলাম। চিকিৎসা না দিয়ে মেঝেতে গুরুতর রোগীকে ফেলে রাখা। রাতের আধারে বেসরকারী হাসপাতাল থেকে অসুস্থ রোগীকে বের করে দেয়া। এমনকি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে হাতুড়ি দিয়ে পা ভেংগে দেয়া, লাঠি রড দিয়ে নির্মমভাবে পিটানো ছাত্রকে ডিসচার্জ করে দেয়া।
আমি অনেক আগে থেকেই বলে এসেছি চিকিৎসকদের আত্মানুসন্ধান করা উচিত, কেন তারা গনমানুষের আকাংখাকে পুরণ করতে পারছেনা। বিন্দুমাত্র সমালোচনা করলে চিকিতসকেরা যে জিঘাংসাবৃত্তি নিয়ে আমার উপরেও ঝাপিয়ে পড়তো তা দেখে বিস্মিত হতাম।
মানুষের চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার যে মৌলিক মানবাধিকার এইটা যে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের একাংশ জানেই না সেটা বুঝা যায় কারণে অকারনে তাদের ধর্মঘট করা দেখে।
যে সমস্ত চিকিৎসক ফ্যাসিবাদ বিরোধী তারাও কিছু করতে পারছেন না, কারণ তাদের বেশীরভাগকেই আগেই চাকরি থেকে বিতাড়ন করা হয়েছে, অথবা অনুল্লেখ যোগ্য জায়গায় ডাম্প করে তার ক্যারিয়ারের বারোটা বাজিয়ে দেয়া হয়েছে। সরকারি দলের ক্যাডার ছাড়া সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার উচ্চপদে কেউ আর নাই।
ফ্যাসিবাদের সহযোগী হিসেবে যে চিকিৎসকদের একাংশের উত্থান, সেটাকে আগামীর বাংলাদেশ কীভাবে মোকাবেলা করবে, সেটা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।