চিকিৎসকদের মধ্যে যুক্তির দেখা পাওয়া ইদানীং দুর্লভ হয়ে উঠেছে।

ডাক্তার সাহেবদের একটা জটিল পরীক্ষায় ফেলি। ধরেন, আপনার কাছে একজন রোগী আসলো, ওই বিশেষ রোগের চিকিৎসা দেয়ার জন্য আপনি বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছেন। আপনি চিনে ফেললেন, এই লোকটিই আপনার পিতার হত্যাকারী। আপনি কি সেই রোগীকে চিকিৎসা দেবেন?

সভ্য জগতের নিয়ম এবং চিকিৎসা পেশার নৈতিকতা বলে, আপনি তাকে চিকিৎসা দেবেন। সকল দক্ষতা উজার করে চিকিৎসা দেবেন। তাকে সুস্থ করে তুলে তাকে বিচারের মুখোমুখি করে, বিচারপ্রার্থী হবেন।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের গর্ব ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিক এন এইচ এসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যানইউরিন বিভান ১৯৪৮ সালে একটা মূল্যবান কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “We ought to take pride in the fact that, despite our financial and economic anxieties, we are still able to do the most civilised thing in the world—put the welfare of the sick in front of every other consideration.”

খুব সহজ করে বলা। “ওয়েলফেয়ার অব দ্যা সিক” এটা যে কোন বিবেচনার আগে। সেটাই মোস্ট সিভিলাইজড থিং। আর এটাকে উল্টো করে বলা যায় রোগীকে চিকিৎসা বঞ্চিত করা মোস্ট আনসিভিলাইজড থিং। এটাকে অন্য কোন কিছুর সঙ্গেই যুক্ত করা যায়না। অনেকে হয়তো বলবেন, চিকিৎসক আক্রান্ত হলেও ধর্মঘটে যাবো না?!! হ্যাঁ, যাবেনা। সেটাই এই পেশার নৈতিকতা, সেটাই এই পেশার কাছে কাম্য। আপনি আপনার পেশার একটা জার্নালের রেফারন্স দিন না, যেখানে এটাকে নৈতিক ভাবে সঠিক বলা হয়েছে। ইউ হ্যাভ এভ্রি রাইট টু সিলেক্ট ইউর প্রফেশন, বাট ওয়ান্স ইউ আর অ্যা ডক্টর ইউ ক্যান নট ডিনাই ইউর সার্ভিস টু দ্যা সিক।

এতো কিছু বলে কোন লাভ হচ্ছে বলে মনে হয়না। কারণ, দুঃখের সাথে এটাও লক্ষ্য করছি চিকিৎসকদের মধ্যে যুক্তির দেখা পাওয়া ইদানীং দুর্লভ হয়ে উঠেছে।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Feeling social? comment with facebook here!

Subscribe to
Newsletter