এইটা হচ্ছে বাড়াবাড়ি এইটা প্রতিহিংসা।

পুলিশের কাজ আসলে কী? এইটা নিয়া আমার ধারণা পুলিশেরও বুঝ নাই। তার ম্যাণ্ডেটটা কী?

তার ম্যাণ্ডেট হইতেছে, শান্তি ও শৃংখলা রক্ষা করা। আর অপরাধের দায়ে অভিযুক্তকে বিচারের মুখোমুখি করা।

পাবলিক পিটানো পুলিশের কাজ না।

তাহলে পুলিশ কি শক্তি প্রয়োগ করবেনা? হ্যা করবে। যদি শান্তি শৃংখলা নষ্ট করার জন্য কেউ শক্তি প্রয়োগ করে তাহলে তাকে নিবৃত্ত করার জন্য শক্তি প্রয়োগ করবে। কতটুকু শক্তি প্রয়োগ করবে সেটাও মেপে দেয়া যায়। যে শান্তি শৃংখলা নষ্ট করতে গিয়ে যতটুকু শক্তি প্রয়োগ করে, তার চাইতে একটু বেশী শক্তি প্রয়োগ করবে, তার বেশী নয়। তাই পুলিশি একশনের প্রথম কাজ হচ্ছে সাসপেক্টকে শুয়ে পড়তে বলে বা দুইহাত দেয়ালে রেখে তাকে দেয়ালের দিকে মুখ ফিরিয়ে দাঁড়াতে বলে। এটা সভ্য দেশের পুলিশেরা করে।

সাসপেক্টকে নিবৃত্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির বাইরে শক্তি প্রয়োগের ম্যাণ্ডেট পুলিশের নাই। এর বেশী শক্তি প্রয়োগকেই আমরা পুলিশের বাড়াবাড়ি বলি। বাড়াবাড়ি শক্তি প্রয়োগ একটি নিন্দাযোগ্য ও সভ্য দেশে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এই ছবিতে দেখুন, সাসপেক্ট মাটিতে শুয়ে ও নিরস্ত্র কিন্তু তবুও তাকে পাঁচজন পুলিশ নির্যাতন করছে। এইটা হচ্ছে বাড়াবাড়ি। এইটা প্রতিহিংসা।

পুলিশের কাজ প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা নয়। এইটা কলোনিয়াল মানসিকতা। তরুণ পুলিশেরা কলোনিয়াল উত্তরাধিকার ঝেরে ফেলে স্বাধীন দেশের উপযোগী আধুনিক পুলিশ হয়ে উঠুন। মানবাধিকারের পাঠ নিন। মানবাধিকারের লংঘনের ঘটনার বিভাগীয় ব্যবস্থা নিন। নইলে বাংলাদেশে পুলিশিং এর ভবিষ্যৎ অন্ধকার।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Feeling social? comment with facebook here!

Subscribe to
Newsletter