….ইউরোপের ইতিহাসই তার ইতিহাস

ধর্ম মানুষের চিন্তাকেও ধারণ করে। ধর্ম যেই প্রশ্ন গুলো তোলে সেটার সামনে দাড়িয়ে একটা রাজনৈতিক ফয়সালার দিকে এগিয়ে যাওয়াই প্রগতিশীলদের কাজ। ইউরোপ এই কাজটা করেই অগ্রসর হয়েছে। সেই কাজ সম্পাদনের জন্য প্রয়োজন প্রধান প্রধান ধর্মের পর্যালোচনা। ইউরোপ তার প্রধান প্রধান ধর্মের পর্যালোচনা করেছে। মার্ক্সের শিক্ষাও তাই। ইউরোপে ধর্মের পর্যালোচনা শেষ হয়ে যাবার পরে মার্ক্স পুঁজির পর্যালোচনায় হাত দিয়েছেন।

প্রাচ্যে ধর্মের পর্যালোচনা শুরুই হয়নি, শেষ হওয়া তো দুর কি বাত। বাংলাদেশের প্রগতিশীলেরা মনে করে ইউরোপের ইতিহাসই তার ইতিহাস, আরে বেক্কল, ইউরোপের ধর্ম আর তোর ধর্ম কি এক? তাইলে তোর ধর্মের পর্যালোচনা কি ইউরোপ কইর‍্যা দিবে। নাকি তোর নিজেরেই কইর‍্যা নিতে হইবো।

বাংলাদেশের প্রগতিশীলেরা দেখে আরে ইউরোপ তো ধর্মের সাথে রাজনৈতিক ফয়সালা কইর‍্যা স্যেকুলারিজম গ্রহণ করছে। তাইলে আমরাও স্যেকুলারিজম নিমু। ধর্মের পর্যালোচনা যেইটা হইতেছে ঘোড়া আর স্যেকুলারিজম হইতেছে গাড়ি। আর ঘোড়ার লগে গাড়ি জুইত্যানোর নাম হইতেছে ২০০ বছরের এনলাইটেনমেন্টের ইতিহাস। ঘোড়া ছাড়া এরা গাড়ি নিবো। তাইলে ঘোড়ার লগে গাড়ি জুইত্যানোর কষ্টটা লইতে হয়না। আর হিম্মতেও তো কুলায় না।

নে তাইলে ঘোড়ার আগে যদি গাড়ি জুইত্যা চলবার পারস তো চালা। তোরে মানা করছে কে? তাই তো স্যেকুলারিজমের জোয়াল তোর নিজের কান্ধেই চাইপ্যা বসছে। না পারিস আগাইতে না পারিস পিছাইতে।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Feeling social? comment with facebook here!

Subscribe to
Newsletter