নিঃসংশয়ে বলা সম্ভব নয়। কেন তার উত্তর দিচ্ছি।
বখতিয়ার খলজী সংক্রান্ত সকল তথ্যই মুসলিম ঐতিহাসিক মিনহাজউদ্দীন শিরাজের তবকাৎ-ই-নাসিরী গ্রন্থ থেকে সংগ্রহ করা। মিনহাজ বখতিয়ারের মৃত্যুর প্রায় চল্লিশ বছর পর বাংলায় গিয়ে বাংলা বিজয়ের যে কাহিনী শুনেছিলেন তাই মূলত লিপিবদ্ধ করেছেন এবং তার উপর ভিত্তি করেই ইতিহাস রচিত হয়েছে। তার বর্ণনা থেকে স্পস্ট বোঝা যায় যে তিনি মূলত প্রচলিত কাহিনীগুলিকেই লিপিবদ্ধ করেছিলেন যা ঐতিহাসিকদের কাছে বাংলা জয়ের একমাত্র দলিল। তাই মিনহাজের সব কথাই সঠিক তা নাও হতে পারে এটাই ঐতিহাসিকদের মত ছিল।
ধরমসাভমিন নামের এক বৌদ্ধ সাধক যে সময় মিনহাজউদ্দীন বাঙলায় এসেছিলেন তার ৮ বছর আগে এবং কথিত বখতিয়ারের নালন্দা ধংসের ৩১ বছর পরে নালন্দায় এসেছিলেন। তিনি নিজে কিছু লিখেন নাই কিন্তু তার বয়ানের উপর ভিত্তি করে তার জীবনী লেখা হয় তিব্বতে Biography of Dharmasvamin নামে। জর্জ রোয়েরিখ মুল তিব্বতি থেকে ইংরেজিতে সেই বই অনুবাদ করেন। পাটনার কে পি জসওয়াল রিসার্চ ইন্সটিটিউট সেটি ছাপে ১৯৫৯ সালে। সেখানে লেখা আছে ধরমসাভমিন কথিত নালন্দা ধ্বংসের ৩১ বছর পরে নালন্দায় এক বছর লেখাপড়া করেন। সেই সময়ে ৭০ জন আচার্য্য নালন্দায় বাস করতো।
নালন্দা যদি বখতিয়ার ধ্বংসই করে থাকবেন তবে তাঁর মৃত্যুর পরেও কীভাবে নালন্দায় লেখাপড়া করা সম্ভব?