নাস্তিক ও স্যেকুলারেরা একটা “ঋষিকল্প” বানায় মুলত তার বিরোধীদের সমালোচনা করার জন্য। বিষয়টা কেমন? সে এমন একটা শুদ্ধ চরিত্রের মানুষের রুপকল্প তৈরি করে যেটাকে সে ঋষিতুল্য বলে। সেই রূপকল্পের মতন হতে হবে সবাইকে সেটা দাবী করে। শুধু তাই নয় কেউ কেউ নিজেকে মুনি বা ঋষি বলে দাবী করে। চাইলে প্রমাণ দিতে পারবো। যেমন ধরুন আপনি বললেন, আমি গুমখুনের প্রতিবাদ করি, সাথে সাথে ঋষিকল্পের লোক এসে বলতে শুরু করবে, এই ব্যাটা সোভিয়েত রাশিয়ায় স্ট্যালিন মানুষ গুম করে নাই? করছে তো, তাইলে তুই গুমের বিরুদ্ধে কথা কস ক্যান? তোর কি সেই নৈতিক অধিকার আছে? যদি বলেন, দুর্নীতি হচ্ছে তখন এই ঋষিকল্পের লোক এসে বলবে এই ব্যাটা তুই ঘুস দিস না? তাইলে তুই কথা কস ক্যান? যদি কিছু খুজে না পায় আপনার বিরুদ্ধে তাইলে সেটা তারা বানাবে। স্যেকুলারদের ভিন্নমতের প্রতি অভিযোগ গুলো দেখুন। কোন বিশেষ ব্যক্তির দুর্নীতির কেচ্ছা, নারী সংক্রান্ত কেচ্ছা, মানুষটা কত খারাপ সেটার কেচ্ছায় টাইম লাইন ভর্তি। টাইম লাইনে জায়গা না হলে ব্লগে লেখে।
যেহেতু মানুষ ঋষি নয়, মানুষ দোষে গুনে ভরা মানুষ; তাই এই ঋষিকল্পকে দারুনভাবে কাজে লাগায় এই স্যেকুলারবৃন্দ। কাউরে যদি তারা ভালো না পায়, তাইলে অনলাইনে এই নাস্তিক ও স্যেকুলারকুল তার একটা ডেমন লাইক ক্যারেক্টার তৈরি করবে। এইটাই হচ্ছে নাস্তিক ও স্যেকুলারদের ঘৃণা চর্চার বেইসিক।
এবার আসেন আসল কথায়। “ঋষি” শব্দটা শুনে মনে হচ্ছে এটা হিন্দু শব্দ। মোটেই না। “ঋষিকল্প” ভারতের সঙ্ঘ পরিবারের আবিষ্কার। সঙ্ঘ পরিবার মানে শিবসেনা, বিজেপি, আর এস এস চক্র। এরাই “ঋষি” চরিত্রকে শুদ্ধাচারী দেখায়। ঋষিকল্প বা “শুদ্ধাচারী ঋষি” হিন্দু ধর্মের নয় হিন্দুত্তবাদের প্রকল্প।
আদতে হিন্দু ধর্ম অনুসারে, শুধু ঋষিরাই নন দেবতারাও শুদ্ধাচারী নয়; দোষে গুনে মেশানো মানুষের প্রতিমূর্তি। যাদের রাগ হয়, কান্না পায়, ভুল করে, ইর্ষা করে, চারিত্রিক স্খলন হয়, মিথ্যা বলে, প্রতারনা করে, বঞ্চনা করে।
নাস্তিক ও স্যেকুলারদের “ঋষিকল্প” আসলে হিন্দুত্তবাদি প্রকল্প; কারণ স্যেকুলারপনা ও নাস্তিকতা একটি প্রচ্ছন্ন হিন্দুত্তবাদ। নইলে সে আমার ধর্ম পরিচয় জানতে চায় কেন? সে কেন প্রচার করে যে আমি মানসিক ভাবে একজন মুসলিম?
লেখাটির ফেইসবুক ভার্সন পড়তে চাইলে এইখানে ক্লিক করুন