একটা নতুন শব্দ শিখলাম আজকে

“মুক্ত চিন্তার মাস্তানরা”

আজকেই ভাবছিলাম এই মাস্তানি নিয়ে লিখবো। এতো জুতসই উপাধি পেয়ে যাবো ভাবিনি। এই মাস্তানদের মাস্তানির উৎস হচ্ছে ইউরোপের এনলাইটেনমেন্ট। এর মানেই এনলাইটেনমেন্ট খারাপ বা পরিত্যাজ্য সেটা নয়। এটা হচ্ছে অলসের খেজুর খাওয়ার মতো। এক অলস লোক ছিল; সে ভীষণ অলস। এত অলস, নড়তেও যেন কষ্ট হয়। একদিন সে খেজুর গাছের নিচে শুয়ে ছিল। তখন একটা খেজুর টুপ করে ঠিক তার গোঁফের মাঝখানে এসে পড়ল। জিব দিয়ে একটু কসরত করলেই খেজুরটা তার পেটে চালান করে দেওয়া যায়। কিন্তু লোকটি এতই অলস, এইটুকু পরিশ্রমেও তার ভীষণ আপত্তি। তাই সে হা করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শুয়েই থাকল। কখন খেজুরটা এমনি এমনি গড়িয়ে তার মুখে এসে পড়বে, আর সে খেজুর খাবে।

এনলাইটেনমেন্টের খেজুর এই প্রগতিশীল নামের মুক্ত চিন্তার মাস্তানদের গোঁফের উপরে পড়েছে। এদের ধারণা এই খেজুর এমনি এমনি মুখের মধ্যে ঢুকে যাবে। তাই এরা হা করে শুয়ে আছে। নিজের ইতিহাস যে নিজেকেই নির্মান করতে হয়, আইডিয়া ধার করে ইতিহাস তৈরি করা যায়না, ইতিহাস তৈরিতে নিজের হিম্মত ও লাগে, এই বোধটুকুও এদের নাই। এদের গোঁফে পড়ে থাকা এনলাইটেনমেন্টের খেজুর পচে যে এর মধ্যেই গন্ধ বেরিয়েছে সে খেয়ালও তাদের নাই। বাংলাদেশের সকল সম্ভাবনা আটকে আছে এই মুক্ত চিন্তার মাস্তানদের বা প্রগতিশীলদের কারণে। কথাটা খুব হার্স হয়ে গেলেও এই কথাটা না বলে আর থাকা গেল না।

এই মুক্ত চিন্তার মাস্তানদের তথাকথিত এনলাইটেনমেন্টের “প্রগতি” কে অতিক্রম করে যাওয়াটাই আজকের বাংলাদেশের কর্তব্য।

লেখাটির ফেইসবুক ভার্সন পড়তে চাইলে এইখানে ক্লিক করুন

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Feeling social? comment with facebook here!

Subscribe to
Newsletter