নোৎরদাম ক্যাথিড্রালের আগুনের ঘটনাকে ফরাসি কর্তৃপক্ষ নিছকই একটা দুর্ঘটনা বলে অভিহিত করেছে। কিন্তু ইতিমধ্যেই আঙ্গুল উঠতে শুরু করেছে চার্চ বিরোধীদের দিকে। এক চরম দক্ষিণপন্থী জার্মান রাজনীতিবিদ এটাকে পরিকল্পিত ঘটনা বলে দাবী করেছেন।
ফ্রান্সে চার্চে হামলা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। শুধু গত ফেব্রুয়ারি মাসেই ৪৭টা চার্চে হামলার ঘটনা ঘটেছে এই দেশে। এর মধ্যে আছে ভাঙ্গচুর করা, আগুন দেয়া, অপবিত্র করা।
আরেকটি পরিসংখ্যান বলছে, ফ্রান্সে গত বছর গড়ে প্রত্যেকদিন দুইটা চার্চে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
নিউজউইক পত্রিকা এক মাস আগে ফ্রান্সে ক্যাথলিক গীর্জার উপর আক্রমণের ঘটনা বাড়তে থাকার প্রসঙ্গে একটা প্রতিবেদন ছাপিয়েছিলো। নোৎরদাম ক্যাথিড্রালের উপর যে হামলার আশঙ্কা ছিলো এবং সেজন্য পুলিশ প্রহরা সেখানে বাড়ানো হয়েছিলো তা ওই নিউজউইক-এর রিপোর্টের সাথে প্রকাশিত ছবিতে স্পষ্ট।
অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে, একমাত্র একটা ঘটনায় আই এসের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলেও অন্য ঘটনাগুলো কারা ঘটিয়েছে সেটা নাকি খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং বিষয় হচ্ছে, ভিয়েনাভিত্তিক একটি সংগঠন যেটি চার্চের বিরুদ্ধে বৈষম্য ও অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে কাজ করে, তারা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে যে উগ্র স্যেকুলার, চার্চ ও ধর্ম বিরোধী, অ্যানার্কিস্ট ও উগ্র ফেমিনিষ্ট গ্রুপগুলো চার্চকে পুরুষতান্ত্রিকতার প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করে। খ্রিষ্টানদের বিরুদ্ধে অ্যানার্কিস্ট ও ফেমিনিষ্ট গ্রুপগুলোর হিংসাত্মক আক্রমণ বাড়ছে বলে ওই সংগঠনের প্রতিনিধি নিউজউইকের প্রতিবেদনে দাবী করেছিলেন।
ফেমিনিস্ট গ্রুপের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক আক্রমণের অভিযোগ আমি কখনো আগে শুনিনি। এই অভিযোগটা অভিনব সন্দেহ নেই, কিন্তু ফেমিনিষ্ট গ্রুপগুলোর অনেকেই যে নিছক শান্তিবাদী নয় এটা মানতে হবে।
লেখাটির ফেইসবুক ভার্সন পড়তে চাইলে এইখানে ক্লিক করুন