যদি বলা হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা আওয়ামী বিরোধীদের ডিমনাইজ করার একটা সাংস্কৃতিক প্রকল্প, এই অভিযোগ চারুকলা কিভাবে খণ্ডাবে?
আওয়ামী লীগের মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে আলগা আগ্রহের কারণ এইটাই যে এই শোভাযাত্রাকে ব্যবহার করে সে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দানবরূপে উপস্থাপনের সুযোগ পায়। এর আগে মঙ্গল শোভাযাত্রায় দাঁড়ি টুপিকে ইসলামী পোশাককে ডিমনাইজ করা হয়েছে। এবার এসেছে খালেদা জিয়ার প্রতিকৃতি, তার হাতে পেট্রোল বোমা। কোন এক মঙ্গল শোভাযাত্রার এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে এভাবেই গতকাল থেকে ঘুরে বেড়াচ্ছে।এভাবেই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে যুগে যুগে ডিমনাইজ করা হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রায়। পরিকল্পিত ঘৃণা ছড়ানো হয়েছে।
একটি দলের রাজনৈতিক প্রকল্পের বিরুদ্ধে যখন রাজনৈতিক বিরোধিতা হয় তখন আওয়ামী লীগের সমর্থকদের পক্ষ থেকে সেটাকে বাংলার আবহমান সংস্কৃতির বিরুদ্ধে হামলা বলে চিত্রিত করা হয়। আওয়ামী লীগ এভাবেই তার সকল রাজনৈতিক প্রকল্পকে শাঁখের করাত হিসেবে নির্মাণ করে যা যেতেও কাটে, আসতেও কাটে।
মঙ্গল শোভাযাত্রা এখন সরকারি প্রজেক্ট। সরকারি নির্দেশনায় মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়। পুলিশ ঠিক করে দেয় কী বহন করা যাবে মঙ্গল শোভাযাত্রায়। এমনকি পুলিশ এটাও ঠিক করে দেয় স্বামী স্ত্রী ছাড়া একই মোটর বাইকে ওঠা যাবেনা।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় মোটিফ হিসেবে যা যা প্রদর্শিত হয় সেটার দায়ও পরিপূর্ণভাবে সরকারের।
মঙ্গল শোভাযাত্রার ঘৃণা উৎপাদনের রাজনৈতিক প্রকল্পের বিরুদ্ধে নাগরিক প্রতিরোধ হওয়াটাই স্বাভাবিক।
লেখাটির ফেইসবুক ভার্সন পড়তে চাইলে এইখানে ক্লিক করুন