শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীরা মনে করছিল পুর্ববঙ্গ অঞ্চলে পশ্চিমবঙ্গ থিকা পাকিস্তান রাষ্ট্রে মুসলমানগো খেদাইয়া দিতে পারলে তাগো হিন্দু রাজ্যে অক্ষয় শান্তি বিরাজ করবে। সেইটা হয় নাই। বৃটিশ শাসনে সাম্প্রদায়িক সংঘাত যেই পর্যায়ে ছিল এখনকার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে তার চাইতে জটিল, গভীর আর নির্মম হইয়া দেখা দিছে এই সাম্প্রদায়িক সমস্যা। কারণ সমস্যাটা সম্প্রদায়ের মধ্যে ছিলনা। ছিলো শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীগো মাথায়।
বাংলাদেশে আর যাই হোক এখনো পর্যন্ত আসানসোল তৈরি হয়না। আমাগো পলিটিক্যাল লিডারেরা আরো একটু ইন্টেলিজেন্ট হইলে সমস্যা যা আছে সেইটাও এতোদিনে দূর হইয়া যাইতো।
তয় শ্যমাপ্রসাদ মুখার্জীর কাছে থিকা আমাগো কিছু শিখার আছে। তার নির্বুদ্ধিতা আর লাইফটাইমের ইগো স্যাটিসফাই করতে গিয়া প্রজন্মের পর প্রজন্ম তার রক্তাক্ত খেসারৎ দিতেছে। শ্যামাপ্রসাদের বেকুবি যেন আমরা না করি।
আমাদের কারো কারো অপরিণত চিন্তা আর ক্ষনিকের আবেগে আমরা এমন ভুলের রাস্তা উন্মুক্ত কইর্যা দিতেছি কিনা সেইটা ভাইব্যা নেয়া দরকার। কারো কারো আলাপ দেখলে মনে হয় বিচার ছাড়া খুন করা কোন অপরাধই না। গনহত্যা কোন অপরাধই না।
ধরেন একটা উদাহরণ দেই। লেনিন তার জীবদ্দশায় এক বিশাল ক্ষমতাবান মানুষ ছিল, তার মৃত্যুর পরেও সত্তর বছর ধইর্যা তার পার্টি তারে দেবতার আসনে বসাইয়া দেশ শাসন করছে। আর আজ খোদ রাশিয়াতেই লেনিনরে অপবাদ দেয়া হয় জারের ফ্যামিলিরে কেন খুন করা হইছে, এইটা নিয়া। যদিও লেনিন এই খুনের অর্ডার দেন নাই।
আজকের দুনিয়ায় হাতে রক্ত লাইগ্যা গেলে পার পাওয়া খুব মুশকিল।
যারা রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়া ক্রস ফায়ারের উস্কানি দিতেছেন আর খুনের বদলা খুন দিয়া নেয়ার উস্কানি দিতেছেন, তাদের কই, রক্তপাতের উস্কানি দেয়াটাও অপরাধ। শুধু অপরাধ না ঘৃণ্য অপরাধ। নিজের ক্রিমিন্যাল ইনটেনশনরে সমাজের মধ্যে ছড়াইয়া দিয়েন না। দুষিত জিনিসের সংক্রমণ হয় দ্রুত।