একজন ডাক্তার লিখছেন, “সমাজের সবচেয়ে মেধাবী, সবচেয়ে কঠিন প্রতিযোগিতা করে মেডিকেলে চান্স পাওয়া, সবচেয়ে কঠিন পড়ালেখা করে যারা ডাক্তার হয় এই সমাজে তারাই সবচেয়ে বেশি সম্মান desserve করে”
সমস্যাটা আসলে এখানে। সে আসলে সমাজে সবার চাইতে বেশী সন্মান চায়, যখন বাস্তবে পায়না, তখন সে বিক্ষুব্ধ হয়। এমনকি অসন্মানের শিকার হলে সে তার উপরে হামলে পরে। ব্যাপারটা এইরকম, সন্মান দিবি কিনা বল, না দিলে তোকে পেটাবো।
কিন্তু উনার এই প্রিসামশন কীভাবে হল যে ডাক্তারেরা সমাজের সবচেয়ে মেধাবী? মেধার নির্ণায়ক কী? মেধার নির্ণায়ক কি এইচএসসির সমমানের সিলেবাসে দেয়া একটা প্রতিযোগিতামুলক পরীক্ষা? আশ্চর্য যুক্তি বটে।
বাংলাদেশের মেডিক্যাল কলেজের লেখাপড়ার একটা বড় অংশ নিরেট মুখস্থবিদ্যা, যার বেশীরভাগই পাশ করার পরে ভুলে যায় সবাই। এই লেখাপড়ায় লাগে খুব সাধারণ মানের মেধা। যেহেতু ডাক্তারি করলে বেশী উপার্জনের সুযোগ পাওয়া যায়, তাই অনেকে ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছা নিয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেয়। এবং সেকারণেই ভর্তি পরীক্ষাতেই অনেকে ঝরে পরে। এর সাথে মেধার কোন সম্পর্ক নাই।
এতোই মেধাবী ছাত্র যে এদের পশ্চিমে গেলে আলাদা পরীক্ষা দিয়ে প্রমাণ করতে হয় যে আমি আসলেই পড়শোনা করে আসছি। আর সেই পরীক্ষায় বাংলাদেশের অসংখ্য দাবীকৃত মেধাবী ফেইল করে, জিন্দেগীতে পাশ করতে পারেনা।
এতো মেধার ঝলক যে, দেশের মানুষ ঘটি বাটি বেচে দিয়ে হলেও ইণ্ডিয়াতে যেয়ে চিকিৎসা নেয়, নিজের শরীরের চিকিৎসার ভার এই মেধাবীদের দিতে ভয় পায়।
এতোই মেধার ঝলক যে দেশের প্রেসিডেন্ট চেক আপের জন্য বাংলাদেশের মেধাবীদের উপরে নির্ভর করতে পারেন না।
এই মেধাবীদের লইয়া জাতি কী করিবে?