আমি অনেকদিন থেকেই এটা নিয়ে লিখবো বলে ভেবেছি। লিখতে পারছিলাম না পাছে প্রবাসী বন্ধুরা ভুল বুঝে। কিন্তু লিখতে হচ্ছেই বাধ্য হয়ে। প্রবাসে থাকা কিছু উন্নাসিক এবং আত্মপরিচয়ের সংকটে ভুগতে থাকা মানুষের লেখা পড়ে। এই লেখাটি সকল প্রবাসীকে নিয়ে লেখা নয়, কিছু বিশেষ প্রবাসীকে নিয়ে লেখা।
বিদেশের মাটিতে পা দিয়েই তাদের ধারণা হয় বাংলাদশ একটা অপদার্থ দেশ, মানুষের কুৎসিত, গায়ে গন্ধ, কোন সিস্টেম নাই, বাংলাদেশের মানুষ লেখাপড়া করেনা, এঁদের শিক্ষা নাই, রুচি নাই, এরা গামলা ধৈরা ভাত খায় আর শব্দ তুইল্যা ঢেকুর তুলে, রাস্তায় ময়লা, গরীব, বাংলাদেশের সব মানুষ হয় চোর নাইলে বাটপার …………।
একজনের লেখা দেখেন, বাংলাদেশের মানুষ কেমন বুদ্ধিহীন সেইটা বুঝাইতে লিখছে, “স্থানীয়দের চোখে এসব দীনতা পড়ে না। কারণ, তুলনা করার জন্যে বিশ্বের উত্তম উদাহরণ তারা দেখনি।”
দেখেন কীরকম ধৃষ্টতা। তুই মার্ক্সরে চোখে দেখছিস নাকি? উত্তম উদাহরন দেখার জন্য বিদেশে থাকতে হয় নাকি রে বেক্কল। বিদেশের মাটিতে পা রাখলেই বেকন হইয়া যায় নাকি সবাই? এতই যদি পারিস, এতই যদি বুইজ্যা ফালাইছিস তাইলে পশ্চিমের মেইনস্ট্রিমে কিছু কইর্যা দেখা না।
বিদ্যা ফলানোর জন্য তো এই বাংলাদেশের মূর্খ পাঠকদেরই লাগে। একজন অরুন্ধুতি রায় হইয়া দেখাও হে পণ্ডিত, দেখি কেমন তালেবর হইছ। তোমার দৌড় তো বুঝি, হবিগঞ্জের ডিম ভাজি তুমি লণ্ডনে যাইয়া হইবা অমলেট। অমলেট হইয়া ভাব লও যেন একটা ফ্রান্সিস বেকন হইয়া গেছ।