ম্যাডাম থেকে “মা” তে উন্নীত হওয়া অর্জনের ব্যাপ্তি বিশাল।

যেটা হয়তো অনেকেই খেয়াল করেনি, তা হচ্ছে; বেগম খালেদা জিয়ার এই কয়দিনে সবচেয়ে বড় পলিটিক্যাল এচিভমেন্ট হয়েছে যে, তিনি তাঁর কর্মিদের কাছে “ম্যাডাম” থেকে “মা” তে উন্নীত হয়েছেন। বেগম জিয়াকে আর কর্মিরা ম্যাডাম বলে ডাকেনা, “মা” বলে ডাকে। এই উত্তরণের রাজনৈতিক তাৎপর্য অপরিসীম।

এই উত্তরণের কারণে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেগম জিয়া যে অনন্য উচ্চতায় পৌছেছেন সেই উচ্চতা ছোঁয়া আর কারো জন্য সম্ভব কিনা তা সন্দেহের বিষয়।

আমাদের কালচারে মাতৃমুর্তি খুব পাওয়ারফুল একটি প্রপঞ্চ। আমরা দেশকে মায়ের সন্মান দেই। আমরা সবচেয়ে অনুগত মায়ের। সেই সন্মানের জায়গা যদি একজন পলিটিক্যাল লিডারকে ছেড়ে দেয়া হয় তাঁর শক্তি হয়ে উঠতে পারে অকল্পনীয়।

আমাদের মায়েরা কষ্ট সহ্য করেন, মুখে কিছু বলেন না; হয়তো নীরবে অশ্রুপাত করেন। বেগম জিয়াকে যতই কষ্ট দেয়া হবে, তাঁর কর্মিরা আরো বেশী করে তাঁকে মাতৃমুর্তির সাথে রিলেইট করবে। তাঁরা মনে করবে, মা নিশ্চয় নীরবে অশ্রুপাত করছেন। মায়ের সেই অদৃশ্য কল্পিত কান্না, তাঁদের বুকে ক্রমাগত শেলের মতো বিঁধতে থাকবে।

বিএনপি নিশ্চয় আওয়ামীলীগকে ধন্যবাদ দিতে পারে। খালেদা জিয়ার গায়ে কালি লাগাতে গিয়ে উল্টা খালেদা জিয়াকে তাঁরা এক অনন্য উজ্জ্বল মাতৃমুর্তিতে উন্নীত করে দিয়েছে, যেই উচ্চতায় বেগম জিয়ার আশেপাশে আপাতত আর কেউ নেই।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Feeling social? comment with facebook here!

Subscribe to
Newsletter