১২ ডিসেম্বর প্রথম আলো একটা খবর ছাপে “ফসলের মাঠে নারীদের যেতে মানা!” এই শিরোনামে। সেখানে তাঁরা বলে, ‘ফসলের ক্ষতি’ ও ‘অসামাজিক কার্যকলাপ’-এর অজুহাতে নারীদের মাঠে যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কল্যাণপুর জামে মসজিদের মাইক থেকে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়।”
এই খবর দেখে শাহবাগী ও স্যেকুলারকুল দারুণ হইচই শুরু করে। কয়েকটা স্ক্রিনশট দিলাম। উইমেন চ্যাপ্টার শুরু করে হাউকাউ, প্রবন্ধ ফেদে বসে, “মোল্লাতন্ত্রের শিকার যখন কিষাণি” শিরোনামে।
আসলে কী ঘটেছে? একটা অনুসন্ধানী রিপোর্টে আজকে জানতে পারলাম।
এই গ্রামে নারীরা ছাগল পালে, ছাগলের খাদ্য উপযোগী কাঁঠাল পাতার স্বল্পতা থাকায় এই গ্রামের মুল ফসল কলা গাছের পাতা, এমনকি মোচা বিকল্প খাদ্য হিসেবে নারীরা ছাগলকে খাওয়াতে থাকে। ফলে কলাচাষ ক্ষতিগ্রস্থ হতে থাকে। গ্রামের কৃষকেরা নিজেরা আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেয় আগামী দুইমাস এই কলাবাগানের ফসল ওঠার আগে পর্যন্ত নারীরা যেন কলাক্ষেতে না আসে। তাহলে কলা ক্ষেত রক্ষা পাবে। এই ঘোষণা দেয়া হয় মসজিদের মাইক থেকে। এমন ঘোষণা আগেও দেয়া হয়েছে। এর সাথে মোল্লাতন্ত্রের কোন সম্পর্ক নাই। নেহাত জীবন আর জীবিকার সংগ্রাম। সেই সংগ্রামে একটা সাম্যবস্থা বজায় রাখার জন্য একটা সামাজিক সিদ্ধান্ত।
এইটারে একটা রিলিজিয়াস ইস্যু বানায়ে রাশেদা কে চৌধুরী ব্যাক গিয়ার ফ্রন্ট গিয়ারের গল্প শুরু করছেন। এর মধ্যে নাকি থানা পুলিশও হইতেছে। আশ্চর্যকথা!! পত্রিকা একটু অনুসন্ধান কইর্যা নিউজ ছাপবেনা? প্রথম আলোর মতো পত্রিকা যদি স্যেকুলার চুলকানিতে আক্রান্ত হয় তাইলে তো তা হতাশাজনক।
আর যে স্যেকুলারকুল মানবাধিকার আর মোল্লাতন্ত্রের হিসাব কষতেছে, আমি তাঁদের সবিনয়ে বলতে চাই; আপনারা মোল্লাতন্ত্র আর মানবাধিকার বুঝার আগে মানুষ বুঝুন, তার জীবনের সংগ্রাম বুঝুন। মিছেমিছি আপনারা আপামর মানুষের আবেগকে আহত করতেছেন নানা ইস্যুতে। এর পরিণতি দেশের কারো জন্যই ভালো নয়। প্লিজ আপনারা সংযত হোন। অহেতুক অতি স্যেকুলারগিরি ফলাইতে যাইয়া, মানুষ ক্ষেপাইয়েন না। আপনারাই আর সামলাইতে পারবেন না। এইবার একটু দয়া কইর্যা খামোশ হন। নাইলে এই আলেম ওলামাদের মধ্যেই কেউ ভাসানির মতো হুংকার দিবে “খামোশ” কইয়া। ওই এক হুঙ্কারেই আপনাদের অনেকের দুর্বল হৃদপিণ্ড স্তব্ধ হইয়া যাইতে পারে। তাই সাবধান।