একটা কোলকাতার বাংলা সিনেমা দেখলাম, নাম হেমন্ত। পরমব্রত আর যিশু অভিনয় করেছে। ছবিটা হ্যামলেটের বংগীয় ভার্শন।
পরমব্রত হ্যামলেট, তার রাজত্ব হচ্ছে একটা সিনেমা প্রোডাকশন হাউজ, হ্যামলেট যেমন জার্মানিতে পড়াশোনা করছিল, হেমন্ত তেমন নিউইয়র্ক এ থাকে। হ্যামলেট পেত প্রেতের বানী আর হেমন্ত পায় আননোন নাম্বার থেকে এস এম এস। মাসালা আছে, আছে বেডসিন, সমকামিতা, ড্রাগস, মানে দাদাদের মডার্ন হবার খায়েশ পুরণে যা যা দরকার তার সবই আছে।
আমার আগ্রহ সিনেমার খুঁটিনাটিতে নাই, আগ্রহ হচ্ছে সিনেমায় বাংলাদেশকে কীভাবে চিত্রিত করা হয়েছে সেটা নিয়ে। হেমন্তের কাকা যে হেমন্তের বাবাকে খুন করে তার বাবার ফিল্মি সাম্রাজ্যের দখল নেয় তার মুল কাজ হচ্ছে, বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলোর নামে টেররিস্ট ফাণ্ডিং করা। কী ভয়ানক!! সিনেমায় বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে অসংখ্য টেরোরিস্ট ক্যাম্প আছে মাদ্রাসাগুলোর নামে!!! কী চমৎকার বাংলাদেশের চরিত্র চিত্রন।
হ্যামলেটের বাবার কানে বিষ ঢেলে হত্যা করা হয়েছিল, আর হেমন্ত মার্কা সিনেমা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গবাসীর কানে বাংলাদেশের নামে বিষ ঢালা হচ্ছে। বাংলাদেশকে একটা টেরোরিস্ট ট্রেনিং সেন্টার হিসেবে চিত্রিত করা হচ্ছে আর মাদ্রাসাগুলোকে টেররিস্ট ক্যাম্প হিসেবে। এই পরমব্রত আবার বাংলাদেশের ছবিতে মুক্তিযোদ্ধা সাজে। আহা।
দাদাবাবু, হেমন্ত সিনেমার ফাণ্ডিং করেছে কে? বিজেপি নাকি শিবসেনা?