আওয়ামী লীগ মানেই মুক্তিযুদ্ধ আর আওয়ামী লীগের বিরোধিতা মানেই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা। এই ন্যারেটিভ তৈরি করেছে আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা নিজেই। যেই সহজ সত্যটি তাঁরা নির্দয় ভাবে উপেক্ষা করেছে সেটা হচ্ছে “মুক্তিযুদ্ধ” একটি জাতীয় অর্জন, আর আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল। মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব দিয়েছে সেই কারণেই জাতি সারা জীবনের জন্য সেই দলের আনুগত্য মেনে নিতে বাধ্য নয়।
আওয়ামী সমর্থকদের কাছে আওয়ামী বিরোধিতা মানেই সেটা জামাত। আওয়ামী লীগের বিরোধিতা কারিদের “জামাত” বানিয়ে আওয়ামী লীগ “জামাত” কেই তাঁদের লেজিটিমেইট বিরোধীদল বানিয়ে দিচ্ছে। এটাকে যদি আওয়ামী লীগ তাঁদের রাজনৈতিক ক্ষতি হিসেবে বিবেচনায় না নেয় তবে ধরে নিতে হবে এইভাবে জামাতকে ফ্রন্ট লাইন আওয়ামী বিরোধী বানানোটা তাঁদের রাজনৈতিক কৌশল।
শুধু বিরোধিতাই নয়; যার যার মন্তব্য অগ্রহণযোগ্য মনে হয় আওয়ামী সমর্থকের কাছে সেই রাজাকার-জামাত। সেকারণে বি এন পি ও তাঁদের কাছে জামাত, বামপন্থীরাও তাঁদের কাছে জামাত, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকিও জামাত, মুক্তিযুদ্ধের উপ সর্বাধিনায়ক এ কে খন্দকারও জামাত।
আওয়ামী লীগের অতি উৎসাহী সমর্থকদের এই অযাচিত বদান্যতায় জামাত নিশ্চয় খুব খুশী।