ইন্ডিয়ার সামরিক শক্তির কারো সাথেই যুদ্ধে জেতার ইতিহাস নাই। চিনের সাথে লজ্জাজনকভাবে হেরেছে। পাকিস্তানের সাথে যতগুলো যুদ্ধ হয়েছে প্রায় দশগুন বেশী সামরিক শক্তি নিয়েও ইন্ডিয়া জিততে পারে নাই। সবগুলো যুদ্ধের ফলাফল অমীমাংসিত।
একমাত্র ব্যতিক্রম ৭১ এর যুদ্ধ। এই যুদ্ধ ইণ্ডিয়ার কাছে ইণ্ডিয়া পাকিস্তান যুদ্ধ, যদিও ইন্ডিয়া এই যুদ্ধ একা লড়ে নাই। কারণ এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিলো। এই যুদ্ধের শেষ পর্বে লড়েছে ইন্ডিয়া আর বাংলাদেশের যৌথ কমাণ্ড। পাকিস্তানের পুর্বাঞ্চলীয় কম্যান্ড আত্মসমর্পন করে যৌথ কমান্ডের কাছেই, কাগজে কলমে হার স্বীকার করে নিয়ে। ভাগ্যগুণে সেই সময়ে যৌথ কমাণ্ডের নেতা ছিলেন ইণ্ডিয়ান জেনারেল অরোরা। এই বিজয়ের গৌরব কোনক্রমেই এককভাবে ইন্ডিয়ার একার নয়, সমানভাবে আমাদেরও।
বাংলাদেশকে পাশে না নিয়ে এই যুদ্ধ ইন্ডিয়াকে একা একা লড়তে হলে ফলাফল আগের মতোই হতো, বলাই বাহুল্য।
এই যুদ্ধটা যে আসলে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের বাচা মরার লড়াই ছিল, সেকারণেই এই বিজয়ের জন্য ডিসাইসিভ বা নির্ধারক ছিলো মুক্তিযোদ্ধারা। দাড়ান দাঁড়ান ইণ্ডিয়ান বন্ধুরা, আমি আপনাদের ইন্ডিয়ান লিটারেচার থেকেই উধৃতি দেব।
১৯৭১ এ দুই ফ্রন্টে পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ চলছিল ভারতের। ইস্টার্ণ ফ্রন্ট যেটা আমাদের বাংলাদেশ, যেখানে ইণ্ডিয়ান আর্মি পেয়েছিল লড়াকু মুক্তিযোদ্ধাদের। আর ওয়েস্টার্ণ ফ্রন্ট যেখানে ইণ্ডিয়ান আর্মি একাই লড়েছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে, সেখানে কী হয়েছিল? ইণ্ডিয়া কি জিতেছিলো?
ইস্টার্ণ ফ্রন্টে পাকিস্তান পরাজিত হলো। আর ওয়েস্টার্ণ ফ্রন্টে? এবার আসুন ইণ্ডিয়ান ডিফেন্স রিভিউ থেকে ইণ্ডিয়ান ডিফেন্স মিনিস্ট্রির জয়েন্ট ডিরেক্টর কর্নেল অনিল আথালের লেখা থেকে দেখি। তিনি লিখেছেন, “1971 was a decisive victory only in the East, and the Pak army remained largely undefeated in the West.”
“১৯৭১ এ শুধুমাত্র নিশ্চিত বিজয় হয়েছিল পুর্বাঞ্চলে এবং পাক আর্মি পশ্চিমাঞ্চলে মুলত অপরাজিত ছিল।”
পশ্চিমাঞ্চলে তো আর মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে পান নাই দাদারা। নিজের মাজার জোরে তাই আর পারেন নাই জিততে। আহারে বেচারা।
One thought on “ইন্ডিয়া একা কখনো কোন যুদ্ধে জেতে নাই”
পাগলা বলে ওয়েষ্টার্ন ফ্রন্টে পাকিস্তান জিতসে! ????????.. ইষ্টার্ন ফ্রন্টে পাক আর্মি সারেন্ডার করার সাথে সাথেই তো যুদ্ধবিরতির ঘোষণা হয়ে যায়। যুদ্ধ না হলে তো শত্রুপক্ষ ‘আনডিফিটেড’ই থাকবে!.. যেমন গতবিশ্বকাপে অষ্ট্রেলিয়া ম্যাচ বৃষ্টির কারণে ভেস্তে যাওয়ায় বাংলাদেশে “আনডিফিটেড’ ছিল। তবে শিওর ওয়েষ্টার্ন ফ্রন্টে আরকয়ছকদিন যুদ্ধ চললে ইয়হিয়া খানের বাসভবন পর্যন্ত পৌছে যেত ইন্ডিয়ান আর্মি।
আর ওয়েষ্টার্ন ফ্রন্টে পাকিস্তানের যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করতে কালঘাম ছুটে গেছে পাকিস্তানের। করাচি পোর্ট মিসাইলের পর মিসাইল দেগে গুড়িয়ে দেয় ইন্ডিয়ান নেভি। ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের তান্ডবে নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছিল পাকিস্তানের। অত্যাধুনিক সুবিশাল মার্কিন ট্যাঙ্ক নিয়েও শুধু মেজর চাঁদপুরির স্ট্র্যাটেজির কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল পুরো ব্যাটেলিয়ান।