শ্রী বিধান চন্দ্র ও আমার কথোপকথন

গতকালের একটা ইন্টারেস্টিং আলাপ। আমি ইউজুয়ালি ঘনিষ্ঠ কারো স্ট্যাটাস ছাড়া কমেন্ট করিনা। কিন্তু তিনি বাংলাদেশের সরকারী একজন কর্মচারী এবং তিনি নাসিরনগর আর রামুতে যারা হামলা করেছিল তাঁদের কেন “দুর্বৃত্ত” বলা হয় আর রোহিঙ্গাদের পরিচয় দেবার সময়ে কেন মুসলমান পরিচয় দেয়া হচ্ছে। আমি সেখানে একটা কমেন্ট করেছিলাম।

“যে লোকগুলো নাসিরনগরে আর রামুতে ঝাপিয়ে পড়েছিল তারা আওয়ামীলীগ ছিলো। আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতারা এই হামলাগুলোকে অরগানাইজ করেছে। অসংখ্য এভিডেন্স আছে এইটার পিছনে। অথচ তারা আপনার কাছে দুর্বৃত্ত। আসলে আপনি বলতে চাইছেন যেটা বলতে পারছেন না সেটা হচ্ছে নাসিরনগরে আর রামুতে মুসলমানেরা হামলা করেছে। তাইতো? এইটা বলতে চান? আপনার ধর্মের লোকেরা গনহত্যা চালায়না কোথাও? আপনি তার দায় নেন?”

এইবার তাঁর আলাপের চুম্বক অংশ আর আমার প্রতিউত্তর। একটু দীর্ঘ হলেও গুরুত্বপুর্ণ বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের এলিট অংশের মনোকাঠামো বুঝার জন্য গুরুত্বপুর্ণ। তাঁর যুক্তি আর পাল্টা আক্রম্নের কৌশলগুলো লক্ষ্য করুন, মজা পাবেন।

শ্রী বিধান চন্দ্রঃ পিনাকী ভট্টাচার্য, আপনি কোন ধর্মের লোক?

পিনাকী ভট্টাচার্যঃ আমি একজন ঘোষিত অজ্ঞেয়বাদী একসময় নাস্তিক ছিলাম। জন্মেছি হিন্দু পরিবারে। ধর্ম পালন না করলেও আমি ব্যক্তিগতভাবে হিন্দু ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির মধ্যে বসবাস করি। এই প্রশ্নটা আপনার জানার দরকার হল কেন? পিনাকী ভট্টাচার্য এই টাইটেলটা ইউজুয়ালি কারা ব্যবহার করে বাঙালি হয়ে এটা জানা নাই আপনার?

শ্রী বিধান চন্দ্রঃ: হুম, জানি। ভট্টাচার্য পদবীটা দেখেই বুঝেছি, আপনি কোন শ্রেণীর মাল। মানুষকে নিচু বর্ণের নামে আপনার চৌদ্দপুরুষ দাস করে রেখে শোষণ করে আপনাদের বড় করছে। আপনাদের প্রতিটা রক্তবিন্দুতে শোষণ আর অন্যদের দমিয়ে রাখবার ইতিহাস। আপনাদের চিনবো না? তবে জিজ্ঞেস করে সিওর হলাম মাত্র।

পৃথিবীর ইতিহাসে হিন্দুরা একটাই মসজিদ ভাঙছে, আর গুজরাতে একটা দাঙা বাধাইছে। সে মসজিদ ভাঙার দায়ে এল কে আদভানির পর্যন্ত আদালতে হাজিরা দিতে হয়, আর গুজরাট দাঙায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন হয়েছে। আরো একটু বলি, এই মন্দির ভাঙা আর গুজরাট দাঙার দায় উগ্রবাদী হিন্দুদের উপরই দেয়া হয়েছে। সহি হিন্দু বা অসহি হিন্দু খোঁজা হয়নি। তাছাড়া কেউ দুর্বৃত্ত বা মানসিক ভারসাম্যহীন টাইটেল দিয়েও না জানার ভান করেনি। অবশ্য আপনি এগুলো নাও জানতে পারেন, এতো খোঁজখবর আপনি রাখেন বলে মনে হয় না।

পিনাকী ভট্টাচার্যঃ তাই নাকি? আচ্ছা। জেনে প্রীত হলাম পৃথিবীতে হিন্দুরা মাত্র একটা দাংগা বাধাইছে আর একটা মসজিদ ভাংছে। সাধু সাধু। তা আমার চোদ্দ পুরুষের দায় (যদি থাকে) আমার উপরে চাপাইবেন? এইটাও ভালো বুদ্ধি। প্রীত হইলাম। জ্বিনা ভাই আমি এতো খোজ খবর রাখিনা। আমি নেহায়েত মুর্খ মানুষ।

তা আমার নামটা খেয়াল রাইখেন। এই আনইনফর্মড মানুষটার লেখালেখির মুখোমুখি হতে হবে ম্যালাদিন।

প্রাগৈতিহাস যুগ থেকে আধুনিক কাল পর্যন্ত হিন্দুদের করা দাংগার ইতিহাস আর তার সাথে গনহত্যার ইতিহাস আর লিখলাম না। এটা তো আপনার মতো জ্ঞানী মানুষের না জানার কথা নয়। তাইনা। ভালো থাকবেন। বাই।

শ্রী বিধান চন্দ্রঃ পিনাকী ভট্টাচার্য, আপনার নাম ফেবুতে অনেক শুনেছি। তবে সেগুলো আপনাকে গালিগালাজ আর হাসি ঠাট্টার মাধ্যমেই।
আমি এও শুনেছি, আপনি নিজ ধর্মকে অসম্মান করে অন্যের প্রিয়পাত্র হবার জন্য নিজেকে হীনতার চরমে নিয়ে গেছেন। যতসব মিথ্যা আর খোড়া যুক্তি আর ইতিহাস দেখাচ্ছেন।

অবশ্য আপনার আইডিতে ঢোকার ইচ্ছা বা সৌভাগ্য আমার হয়নি। কখনো, ইচ্ছাও নেই। তাই সত্য মিথ্যা যাচাই করা হয়নি।

পিনাকী ভট্টাচার্যঃ বিধান বাবু নিজ ধর্মেকে অসন্মান জীবনেও করিনি। ইন ফ্যাক্ট আমি হিন্দু ধর্ম নিয়ে যা লিখছি স্কলারলি তা পড়তে আপনার এক সপ্তাহ লাগবে। লেখালেখি না পইড়্যা ফাউল কমেন্ট করবেন না।

শ্রী বিধান চন্দ্রঃ পিনাকী ভট্টাচার্য, হুম তা ঠিক। আপনার লেখা আমি পড়িনি। আর কোনদিন যেন পড়তেও না হয়।

পিনাকী ভট্টাচার্যঃ পইড়েন না অসুবিধা নাই। কিন্তু না পইড়্যা অনুমানে কথা কইয়েন না। আমি কী জানি কতটুকু জানি সেইটা নিয়াও জ্ঞানগর্ভ বাতেলা ঝাইরেন না।

শ্রী বিধান চন্দ্রঃ পিনাকী ভট্টাচার্য, এখানে অনুমানের কিছু নাই। আপনাকে নিয়ে শত শত পোস্ট দেখেছি আমি, যেখানে আপনাকে গালিগালাজ আর হেয় করে বিভিন্ন কথা লেখা হয়। এবং সেটা আপনিও কম বেশি জানেন।

পিনাকী ভট্টাচার্যঃ গালিগালাজ ছাড়া আর কিছু তো দেখেন নাই তাইনা? আমার লেখা তো পড়েন নাই। হাজার হাজার পোস্টে তো হিন্দুদের নিয়েও গালিগালাজ করা হয়। তো? কারে নিয়ে গালিগালাজ হয়না? জাফর ইকবালরে নিয়ে হয়না গালিগালাজ? শাহরিয়ার কবিররে নিয়ে হয়না গালিগালাজ? যারে গালিগালাজ করা হয় সেই মানুষটা বর্জনীয় এই হাইপোথিসিস আপনি মানেন কিনা বলেন। তার লেখা পড়া যাবেনা, এইটা আপনি মানেন কিনা বলেন।

শ্রী বিধান চন্দ্রঃ পিনাকী ভট্টাচার্য, এবারে আপনি বলেন, আপনার ফলোয়ার বা নিয়মিত পাঠকেরাই বা একশ্রেণীর কেন? আপনাকে শেল্টার দিতে ঐ এক শ্রেণীর লোকগুলোকেই কেন আসতে হয় বা আসে? আমি দেখতে চাই,আপনার পক্ষে কথা বলার জন্য এইখানে বাংলা নামধারী কয়েকজন অরিজিনাল আইডির লোক আসছে। পারবেন দেখাতে? আপনি কিছুক্ষণ আগে শাহরিয়ার কবির, জাফর ইকবাল প্রমুখের নাম বলেছিলেন। তাদের ভক্ত বা ফলোয়ার সারাদেশের সকল শ্রেণীর মানুষ। হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খৃষ্টান, আওয়ামীলীগ বিএনপি, বামপন্থি সব। তাদের গালিগালাজ করে শুধু এক শ্রেনীর মানুষ। আর আপনার ফলোয়ার সব ওই সেই একশ্রেণীর মানুষ, বাকীরা সবাই আপনার বিরোধী, কেন?

পিনাকী ভট্টাচার্যঃ আমি জানি তো আমাকে বাকশালিরা গালি দেয়। আমি প্রীত এই কারণে। আচ্ছা, বিধান বাবু, আপনার নামটা কি বাংলা? শ্রী, বিধান আর চন্দ্র তিনটাই তো সংস্কৃত। বিধান মানে শাস্ত্রবিহিত ব্যবস্থা বা নিয়ম। আপনি বাংলা নাম খুজতেছেন কেন?

শ্রী বিধান চন্দ্রঃ পিনাকী ভট্টাচার্য, আমার নামের আদি সংস্কৃত হলেও এ শব্দগুলো বাংলাতে একেবারেই বাংলা হয়ে মিশে গেছে। এমন বহু শব্দ সংস্কৃত থেকে এসে বাংলা হয়ে বাংলা সমৃদ্ধ হয়েছে। কিন্তু কিছু শব্দ আছে যা বাংলা না, এবং বাংলার সাথে মিশে বাংলাও হবে না। আমি সেটাই বুঝিয়েছি। আর অমন খুঁড়ে খুঁড়ে হাজার হাজার বছর পিছনে গেলে তো বাংলাই হাওয়া হয়ে যাবে। আর আপনি যে বাংলা নামের কাউকে আনতে পারবেন না, সেটাও আমার ধারনা ছিল মাত্র। কিন্তু এখন তো মনে হচ্ছে সত্যিই আনতে পারবেন না।

পিনাকী ভট্টাচার্যঃ জ্বি বুঝছি সংস্কৃত থেকে নাম রাখলে সেটা বাংলায় আত্মিকরণ হয় আরবী থেকে হলে আত্মিকরন হয়না? তাইনা?

শ্রী বিধান চন্দ্রঃ পিনাকী ভট্টাচার্য, কেন সংস্কৃত থেকে তদ্ভব হয়ে বাংলা শব্দ বহু আছে, উদাহরণ ও দেয়া যাবে শতাধিক। আপনি জানেন না, এটা জানতাম না। কিন্তু আরবী থেকে বাংলা হয়েছে, এমন কোন শব্দ আপনার জানা আছে?

পিনাকী ভট্টাচার্যঃ আরবী থেকে বাংলায় এসেছে এমন কমপক্ষে এক হাজার শব্দের তালিকা দেয়া যাবে। চেতনা শিবিরে বহুল ব্যবহৃত শব্দ “শহিদ” শব্দটাই তো আরবী।

শ্রী বিধান চন্দ্রঃ পিনাকী ভট্টাচার্য , শব্দ একটা পাইছেন খুঁজে। হাসি পেলো। আপনি আবার লেখালেখিও করেন শুনলাম। ২০১৫ সালে রমনা মন্দিরে শহীদ হিন্দু মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিলো। সেখানে আপনার ফলোয়ারদের থেকে লোকজন গিয়ে ওই শহীদ কেন হিন্দুদের নামের আগে লাগানোথেকে লোকজন গিয়ে ওই শহীদ কেন হিন্দুদের নামের আগে লাগানো হলো, এই মর্মে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছিলো। বুঝেন এবারে শহীদ শব্দটি কতটা বাংলা হইছে। আর যারা ইসলামের তরে জীবন দেয়, তারাই শুধু শহীদ উপাধি পায়। অন্য কেউ নয়। এমনকি একজন সাধারণ মুসলমান স্বাভাবিক উপায়ে মারা গেলেও শহীদ বলা যাবে না।

পিনাকী ভট্টাচার্যঃ দেখেন চলে কিনা আরবী থেকে বাংলা ভাষায় গৃহীত শব্দ।

অছিলা, অজুহাত, আকবর, আক্কেল, আখের, আজব, আতর, আদত, আদব-কায়দা, আদালত, আবির, আমল, আমলা, আমানত, আমিন, আমির, ওমরা, আয়েশ, আরক, আরশ, আলখেল্লা, আলবৎ, আলাদা, আলোয়ান, আসবাব, আসল, আসামী, আহাম্মক, ইজারা, ইজ্জত, ইনকিলাব, ইনাম, ইন্তিকাল, ইমারত, ইশতেহার, ইশারা, ইস্তফা, ইহুদি, উকিল, উজির, উসুল, এক্তিয়ার, এজমালি, এজলাস, এজাহার, এলাকা, ওকালত, ওজন, ওয়ারিশ, কলম, কদম, কদর, কবর, কেবলা, কবুল, কয়েদ, করার, কলপ, কলাই, কসবা, কসাই, কসুর, কাওয়াল, কানাত, কাফন, কাফরী, কাফের, কামাল, কাজিম, কায়দা, কায়েম, কালিয়া, কাহিল, কিস্তি, কুদরত, কুমকুম, কুলুপ, কেচ্ছা, কেতাব, কেরামতি, কেল্লাফতে, কৈফিয়ৎ, ক্রোক, খতম, খতিয়ান, খবর, খয়রাত, খসড়া, খাজনা, খাতির, খাদিম, খাপ, খামচা, খারাপ, খারিজ-দাখিল, খালসা, খালি, খাসা, খাসি, খেতাব, খেয়ালি, খেলাপ, খেসারত, খোলসা, খোলা, গজল, গড়গড়া, গর (গর হাজির), গরিব, গলদ, গাড়া, গায়েব, , গোসা, গোঁৎ, ছবি, ছাদ, জওহর, জনাব, জহর, জবাব, জমজমাট, জমা, জমানা, জমায়েত, জরিপ, জরিমানা, জলদি, জলসা, জল্লাদ, জাঢরান, জালিয়াত, জাহাজ, জাহির, জিনিস, জিম্মা, জিরাত, জিরাফ, জুলুম, রেজা, জৌলুস, জ্বালাতন, তওবা, তকরার, তকলিফ, তছরূপ, তদারক, তদবির, তফশীল, তফাত, তবিয়ত, তামাদি, তরফ, তর্জমা, তলব, তহবিল, তাক, তাকত, তাগিদ, তাজিয়া, তাজ্জব, তানপুরা, তামাম, তামিল, তারিখ, তারিফ, তালিকা, তালিম, তালুক, তুফান, তুলকালাম, তৈয়ার, তোড়া, তোফা, তোয়াক্কা, দখল, দজ্জাল, দফা, দফা-রফা, দলিল, দাওয়াই, দাখিল, দায়রা, দালাল, দাঁও, দুনিয়া, দেনা, দোয়া, দোয়াত, দৌড়, দৌলত, নকল, নকশা, নগদ, নজর, নজির, নবাব, নসিব, নহবত, নহর, নাকাল, নাগাদা, নাজির, নায়েব, , নিকাশ, নিশা, নুর, নেহাত, ফকির, ফক্কড়, ফতুর, ফতে (কেল্লা ফতে), ফরাশ, ফর্দ, ফসকা, ফসল, ফাজিল, ফানুস, ফায়দা, ফলাও, ফাঁক, ফি, ফিকির, ফুরফুর, ফুরসত, ফেরার মজুত, মঞ্জিল, মঞ্জুর, মতলব, মদদ, মণ, মনিব, মফস্বল, ময়দান, ময়না, মর্জি, মলম, মল্লিক, মশগুল, মশলা, মশাল, মসনদ, মস্করা, মহকুমা, মহড়া, মহববত, মহরম, মহল্লা, মহাফেজ, মহাল, মাত, মাতববর, মানা, মাফ, মাফিক (মর্জি), মামলা, মামুলি, মারফত, মাল, মালিক, মালুম, মাল্লা (মাঝি) মাশুল, মাসহারা, মিছরি, মিনতি, মিনার, মিশর, মুনশি, মুনসেফ, মুনাফা, মুরোদ, মূলতবি, মুকুল, মুল্লুক, মুশকিল, মুসাফির, মুসাবিদা, মুহুরি, মেকি, মেজাজ, মেরামত, মেহনত, মোকাদ্দমা, মোকাবিলা, মোক্তার, মোতায়েন, মোরববা, মোলায়েম, মোল্লা, মোসাহেব, মোক্ষম, মৌজ, মৌতাত, মৌসুমী, রকম, রকম-সকম, রদ-বদল, রপ্ত, রফা, রশি, রায়ত, রায়, রিপু, রুজ, রুবাই, রেওয়াজ, লাখেরাজ, লায়েক, লেপ, লেফাফা, লেবু, লোকসান, শক, শয়তান, শরবত, শরাব, শরিক, শর্ত, শহিদ, শুরু, সই, সওয়াল, সড়কি, সন, সনদ, সফর, সবুর, সলিতা (পুজার সময় লাগে প্রদীপ জ্বালাতে), সহিস, সাকিন, সাকি, সাফ, সাবুদ, সাবেক, সালাম, সাহেবসুবা, সিকি, সিন্দুক, সুলতান, সুলুক, শ্রেফ, হক, হজম, হদ্দ (বোকার হদ্দ), হয়রান, হরফ, হাওয়া, হাওলাত, হাকিম, হাজত, হামলা, হম্বি-তম্বি, হায়া, হারাম, হাল, হালুয়া, হাসিল, হিম্মত, হিসাব-নিকাশ, হিস্যা, হুকুম, হুকো, হুজ্জত, হুবহু, হুর, হুলিয়া, হেফাজত, হ্যাবলা (হ্যাবলাকান্ত)।

আরো লাগবে?

শ্রী বিধান চন্দ্রঃ পিনাকী ভট্টাচার্য, সংস্কৃত বা তৎসম শব্দাবলী তাদের নিজ রূপ পরিবর্তন পূর্বক বাংলার সাথে সামঞ্জস্য রেখে, বাংলা ভাষার শব্দের মতোই ব্যবহৃত হয়। যেমন, হস্ত- হদ্দ- হাত। হাত তৎসম থেকেই এসেছে, কিন্তু তৎসম নয়, বাংলা। আর আপনি তো হুবহু আরবী শব্দাবলী তুলে দিয়ে সেগুলোকে বাংলা বানাতে চাইছেন।

ধরুন, হসপিটাল ইংরেজি শব্দ। কিন্তু হাসপাতাল কিন্তু ইংরেজি শব্দ নয়। এই হাসপাতাল কেও যদি আপনি বাংলা বলে চালাতেন, তাও মান্য করতাম। কিন্তু এখন আপনি যদি হসপিটাল শব্দটিকেই বাংলা বলে চালান, তো তাতে আপনার জ্ঞানের প্রতি সমীহ পোষণ করবার মতো তো কিছু থাকে না। বরং আরো ধারণা নিম্নগামী হয়।

পিনাকী ভট্টাচার্যঃ আমি জ্ঞানী এইটা কে বলেছে আপনাকে? আমি মুর্খ মানুষ এটা আমি আগেই ঘোষণা করেছি। আগের কমেন্ট দেখুন।

যেই শব্দগুলো এখানে আরবী থেকে দেয়া হয়েছে সেগুলোও বাংলায় পরিবর্তিত শব্দ। আরবীতে এই উচ্চারণে ব্যবহৃত হয় সেটা কি আপনাকে বলা হয়েছে? “শহীদ” শব্দটা আরবীতে “শাহিদুন” বলে উচ্চারণ করা হয়। ঠিক আপনার হাসপাতাল আর হসপিটালের মতো।

আর এনার্জি আছে আপনার এই মুর্খের সাথে সাথে তর্ক করার?

শ্রী বিধান চন্দ্রঃ Pinaki Bhattacharya, আসলেই আর তর্কের প্রয়োজন নাই। আর আপনি আমার চেয়ে বয়সেও বড়। তাই ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দেবেন। ভালো থাকবেন।

Binay Joydharঃ এরা হল স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবি

(এই শেষ কমেন্টটি উনার সম্প্রদায়ের ফোড়নজীবি)

Share

Feeling social? comment with facebook here!

Subscribe to
Newsletter