সন্ত্রাসী হওয়ারও যোগ্যতা লাগে

আমরা যখন ছাত্র তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেরা সন্ত্রাসী ছিল ছাত্রদলের গোলাম ফারুক অভি। অভির অনেক দুর্নামের পিছনে একটা উজ্জ্বল অতীত ছিল। সে ছিল বোর্ডে স্ট্যান্ড করা ছাত্র। অভির ঘনিষ্ঠ একজনের কাছে শুনেছি সে নাকি চা-সিগারেট খেত না। কারন চা সিগারেট খেলে হাত কাঁপতে পারে, হাত কাঁপলে গুলি নির্ভুল লক্ষ্যে লাগবে না। আমরা এটা নিয়ে হাসাহাসি করতে পারি, কিন্তু সত্য কথাটা হচ্ছে বদমায়েসি করলেও সে সেটা অতীব নিষ্ঠা এবং কমিটমেন্টের সাথে করেছে। অভির সন্ত্রাসী হওয়ার যোগ্যতা ছিল।

গতকাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস্তল হাতে ছাত্রলীগের এই ছেলেটা ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। ওঁর একটা গুলি ছোড়ার ভিডিও বিডিনিউজ প্রকাশ করেছে। আমি সেই ভিডিওটা বারবার দেখছি আর আমোদিত হচ্ছি। ছেলেটা চেম্বারে অ্যামু লোড করতে গিয়ে হাত কাঁপাতে কাঁপাতে একবার বাঁ হাতে স্লাইড করার চেষ্টা করলো, লোড হোল না; এরপর ডান হাতে স্লাইড করলো, এর মধ্যে ম্যাগাজিন রিলিজ বাটনে চাপ পরে ম্যগাজিন খুলে পড়লো। একটা ফায়ার করলো। নিজেই শব্দে ভয় পেয়ে চমকে পিছনে দৌড় দিল। এদের সন্ত্রাসী হওয়ারও যোগ্যতা নাই।

আমার এক বন্ধু (যে একসময় ছাত্রদল করতো) তাঁর বড় ভাইকে বলেছিল, ভাইজান শিবিররে ধাওয়া দিলে ওরা দেখি পিছু হটে না, দাড়ায়ে থাকে। সেই বড় ভাই, যিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, জিজ্ঞেস করেছিলেন ধাওয়া দিয়ে ওদের দশ গজের মধ্যে গিয়েছিলি? আমার বন্ধুটি বলেছিল, না। বড় ভাইয়ের উত্তর ছিল, তোরা ইনাফ ধাওয়া দিস নাই। ধাওয়া দিয়া দশ গজের মধ্যে জাইস, পালাইয়া কুল পাইবো না।

এইগুলান রে ধাওয়াও দিতে হবে না। এক হাজার ছাত্র ছাত্রী খালি হুঙ্কার দিবেন, পিস্তল ফেলাইয়া উল্টা দিকে দৌড় দিবো।

পিস্তলটা পুলিশরে জমা দিয়েন। ওঁর হাতের পিস্তলটা বেরেটা টম ক্যাট ছিল। নতুন আসছে বাংলাদেশে। দাম তিন লাখ টাকা।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Feeling social? comment with facebook here!

Subscribe to
Newsletter