সাংবাদিকদের সংগঠন ডিইউজে শমী কায়সারকে হুমকি দিয়েছে, যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তার সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করবে।
এর অর্থ হচ্ছে, স্বাভাবিকভাবে যার কোন সংবাদমূল্য নাই তেমন বিষয়কেও তারা প্রতিহিংসাবশত মিডিয়ায় প্রকাশ করে ব্যক্তির সামাজিক মর্যাদার হানি করবে। শমী কায়সার যদি এমন কিছু করেই থাকে যা প্রকাশযোগ্য তাহলে সে ক্ষমা চাইলো নাকি চাইলোনা সেটা দিয়ে সেই সংবাদ প্রকাশিত হবে নাকি হবেনা তা নির্ধারিত হবেনা।
এটা হচ্ছে পেশাকে ব্যবহার করে হুমকি দেয়া বা ব্ল্যাকমেইলিং। যা কোনভাবেই সাংবাদিকতার নীতির সাথে সাজুয্য পূর্ণ নয়। কখনো একজন ডাক্তার বলতে পারেনা, আমি ওর চিকিতসা করবোনা বা এমন ওষুধ দেব যেন মাথার সব চুল পড়ে যায়। একজন উকিল বলতে পারেনা, আমি তোমার কেইস নেবনা, বা এমনভাবে কেইস লড়বো যেন শাস্তি দ্বিগুণ হয়। পুলিশ বলতে পারেনা, আমার কথা না শুনলে মামলায় ফাঁসায়ে দিবো (যদিও এটা বাংলাদেশের পুলিশ প্রায়ই বলে)। শিক্ষক বলতে পারেনা, আমার কাছে প্রাইভেট না পড়লে পরীক্ষায় ফেল করায়ে দেব।
নুসরাতকে যৌন হয়রানি করেছিলো যে অধ্যক্ষ সিরাজদৌলা সে যেমন বলেছিলো আমার কথা শুনলে পরীক্ষার প্রশ্ন বলে দেব। আর না শোনার ফল কী হয়েছে সেটা তো আমরা দেখছিই।
আমার বিস্ময় অবশ্য অন্য জায়গায়। আপনারা এমন ঘটনায় তো আদালতে মামলা করেন, ব্যারিস্টার মইনুলের নামে করেছিলেন না? তারপরে প্রেসক্লাবে মানববন্ধন করেছিলেন, তারপরে শেখ হাসিনার সামনে অভিযোগ করেছিলেন। শেখ হাসিনা বলেছিলেন, একটা মামলায় জামিন পেয়েছে তো কী হয়েছে আরো মামলা করেন, আমাদের কাজ আমরা করবো। এইটাই তো আপনাদের স্ট্যান্ডার্ড প্রসিডিওর। সেইটা কেন অনুসরণ করতেছেন না?
আমরা আম জনতা মুড়ির টিন বাজায়ে উৎসাহ দিবো। এইভাবে আপনারা নিজেরা নিজেরা কামড়াকামড়ি করলে পাবলিক খুব আনন্দ পায়। আমাদের এই নিরানন্দ জীবনে এই নির্দোষ আনন্দ থেকে বঞ্চিত করবেন না প্লিজ।
লেখাটির ফেইসবুক ভার্সন পড়তে চাইলে এইখানে ক্লিক করুন