ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি “শত্রু সম্পত্তি” বাংলাদেশ আমলে ‘অর্পিত সম্পত্তি’ আইনের কথা। সেই সময় থেকে গত পরশু পর্যন্ত ভেবেছি পাকিস্তান একটা ফালতু বর্নবাদী রাষ্ট্র, এইরকম একটা আইন কীভাবে করলো? এই শত্রু সম্পত্তি আইন হয় ১৯৬৫ সালে। খেয়াল রাখবেন সালটা।
গত পরশু জানলাম, ভারতে The Evacuee Property Ordinances নামে একটা কালো অধ্যাদেশ হয়েছিল ১৯৪৯ সালে। স্যেকুলার আইকন নেহেরু করেছিল এই অধ্যাদেশটা। যেখানে সকল মুসলমানকে পটেনশিয়াল ইভাকুই টু পাকিস্তান হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল। এর ফলে পাকিস্তানে চলে যাওয়া যেকোন এক পরিবারের সদস্যের জন্য সম্পত্তি বিক্রি করা বা দখল হয়ে যাওয়া সম্পত্তি ভারতে বসবাসরত মুসলমানদের জন্য উদ্ধার হওয়া বা করা অসম্ভব হয়ে পরে।
পাকিস্তানি পাগলদের সাকো নাড়ানোর কথা কে মনে করিয়ে দিয়েছিল জনাব? এই প্যান্ডোরার বাক্স খুলেছিল আপনাদের প্রিয় স্যেকুলার নেহেরু। বাংলাদেশ ২০০১ সালে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন হয়, বাস্তবায়ন যাই হোক, আইন তো হয়েছে? কিন্তু The Evacuee Property Ordinances এর খবর কী? বাংলাদেশে যারা শত্রু সম্পত্তি আইন বাতিলের দাবীতে এতোদিন আন্দোলন করেছিলেন তারা কি দুই দেশের দুই আইন The Evacuee Property Ordinances এবং শত্রু সম্পত্তি আইনের বিরুদ্ধে একসাথেই দুই দেশে আন্দোলন করতে পারতেন কিনা? তা করতে পারলে, এটা একটা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ইস্যু হয়ে যেত। সমাধানও সহজ হত।
এটা করেন নাই কেন? নেহেরুকে বাচানির জন্য নাকি জানতেন না এই ইন্ডিয়ান আইনের কথা? বাংলাদেশের ইন্টেলেজেনশিয়াও কি জানতো না ভারতীয় এই অধ্যাদেশের কথা?
সূত্রঃ Muslim Belonging in Secular India; By Taylor C. Sherman; Cambridge University Press; Page: 176.
লেখাটির ফেইসবুক ভার্সন পড়তে চাইলে এইখানে ক্লিক করুন