লালন নিজেই ছবি বা মুর্তির বিরুদ্ধে ছিলেন।

বিমানবন্দরের কাছে লালনের ভাস্কর্য স্থাপনের পাঁয়তারা হয়েছিল ওয়ান ইলেভেনের সরকারের আমলে। সেটা শেষ পর্যন্ত করতে পারেনি জন্য স্যেকুলারেরা মনঃকষ্টে ভোগেন।

ঠিক এমন সন্ধিক্ষণে এসে আমরা বুঝতে পারি এই স্যেকুলারেরা চিন্তায় কত স্থুল, মননে কর দুর্বল, জানাবুঝায় কত খর্ব।

লালন নিজেই যেকোন চিহ্ন ব্যবস্থার যেমন ছবি বা মুর্তির বিরুদ্ধে ছিলেন। লালন অনুসারীরা সতর্ক যাতে সেই ছবি, আইকন প্রতীকের ফেরে পড়ে কেবল এসব প্রতীকই সত্য, মুখ্য হয়ে না হয়ে ওঠে। লালনের কায়কারবার ছিল জীবন্ত মানুষ নিয়ে, কোন মৃত প্রতীককে লালন তার চিন্তা বা চর্চায় স্থান দেন নাই।

লালনের একমাত্র প্রতিকৃতি যেটা পাওয়া যায় সেটা জোত্যিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা একটা পেন্সিল স্কেচ, যেখানে লালন পাশ ফিরে একটা চেয়ারে বসে আছেন হাতে লাঠি। কয়েকটা দ্রুত টানে লালনের অলক্ষ্যেই ছবিটি আঁকা হয়েছিল বলে দেখলে মনে হয়।

লালনকে না জেনে, তার ভাব আর চর্চার কোন হদিশ না রেখে যারা তার ভাস্কর্য বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা জ্ঞানে হোক অজ্ঞানে হোক লালনের চিন্তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন এবং লালনের ভাস্কর্য বানিয়ে লালনের চিন্তাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। লালনের কবরকে মাজার বানিয়ে ফেলাও লালনের চিন্তার বিরোধী। লালন নিয়ে ভাস্কর্য বানানোর এই বেকুবি এবং তুঘলকী সিদ্ধান্ত যারা বাস্তবায়িত হতে দেয়নি তাঁদের অভিনন্দন।

লেখাটির ফেইসবুক ভার্সন পড়তে চাইলে এইখানে ক্লিক করুন

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Feeling social? comment with facebook here!

Subscribe to
Newsletter