আদালত রাষ্ট্রধর্মরে নিয়া করা রিট খারিজ করছেন। আমি গত কয়দিনের এই নিয়্যা নানা আলাপ দেখতাছিলাম। একটা আরগিউমেন্ট দ্যাখলাম, রাষ্ট্রভাষা যদি থাকে তাইলে রাষ্ট্রধর্ম ক্যান না? আরগিউমেন্ট হিসাবে এইডা আমার কাছে জুইতের মনে হয় নাই। কারণ “রাষ্ট্রভাষা” নামের এই প্রপঞ্চডা যেই কারণে তইয়ার হয় “রাষ্ট্রধর্ম” সেই কারণে তইয়ার হয়না।
রাষ্ট্ররে কথা কইতে হয়। সে লেইখ্যা কথা কয়। রাষ্ট্রের আইনরে লেইখ্যা রাখতে হয়। রাষ্ট্ররে লেইখ্যা নির্দেশনা জারি করতে হয়। সে হেইডা কোন ভাষায় করবো? তাই হ্যায় একটা প্রধান ভাষা বাইছ্যা লয়। তাইলে রাষ্ট্র ভাষা প্রধান ভাষা মুলত বাইছ্যা লওয়ার কারবার।
তাইলে রাষ্ট্রধর্মডা কি বাইছ্যা নেওয়ার কারবার? না, মোটেই না। রাষ্ট্ররে তো ধর্ম পালন করতে হয়না। হ্যায় চাইলেও ধর্ম কর্ম করব্যার পারবোনা। ধর্ম মাইনসের লাইগ্যা। রাষ্ট্রের লাইগ্যা না। রাষ্ট্র পুজা করতে পারবোনা, চার্চে যাইতে পারবোনা, নামাজ রোজা করতে পারবোনা।
তাইলে রাষ্ট্রধর্ম বিষয়ডা কী? চাইরটা ইউরোপিয়ান দ্যাশে রাষ্ট্রধর্ম আছে। স্যেকুলারিজমের ধারণা যাগো তৈরি হ্যারা রাষ্ট্র ধর্ম করে ক্যান?
করে, কারণ হ্যার রাষ্ট্রে হেই ধর্মই প্রধান, তারে হেইডা ঘোষণা দিতে হয় হ্যার সাংস্কৃতিক পরিচয়ের লাইগ্যা। তাইলে রাষ্ট্রধর্ম হইতেছে সাংস্কৃতিক পরিচয়ের লাইগ্যা রাষ্ট্রের প্রধান ধর্ম কোনডা হেইডা ঘোষণার কারবার।
ইসলাম যে বাংলাদেশের প্রধান ধর্ম আর সাংস্কৃতিক পরিচয়ের একটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হেইডা তো আপনারে ঘোষণা করতেই হইবো। ঠিক কিনা? নাকি ভুল কইলাম?