রাজনীতি নিয়া কথা বলার খায়েশ কেন?

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। ভালো কথা, তো সেইটা নিয়াই থাকেন। ইংরাজি সাহিত্য নিয়া কিছু বলেন; আমরাও কিছু জানি। ইংরেজি সাহিত্যে কে কী লিখতেছে তার তালাশ দেন; আমরাও পড়ি। কিন্তু তিনি তা করবেন না। তিনি রাজনীতি নিয়া কথা কইবেন। তিনি গণতান্ত্রিক সরকারের সার্টিফিকেট দিবেন।

উনি জীবনে রাজনীতির চর্চা করেন নাই। তাগড়া জোয়ান ছিলেন, কিন্তু ১৯৭১ এ, কিন্তু যুদ্ধে না যাইয়া তিনি আরামসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেন। তো উনার এতো রাজনীতি নিয়া কথা বলার খায়েশ হয় কেন? ইতিহাসের মঞ্চে তো বুলেটের ভাষায় মহাকাব্য লেখার সুযোগ পাইছিলেন। নেন নাই কেন সেই সুযোগ?

আর আজকে আপনি কইতেছেন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসন আছে? আপনি তো গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক শাসন, গণতান্ত্রিক সরকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বা সংবিধান কিছুই বুঝেন নাই।

আপনি একসময় আরজ আলী মাতুব্বররে বাংলার সক্রেটিস কইছিলেন। ভুলি নাই। এইটা কইয়া বুঝাইয়া দিছিলেন দর্শন কী আর সেইটা কী নিয়া ডিল করে তা নিয়া আপনার প্রাথমিক ধারনাও নাই।

নিজের কাজ করেন স্যার। ইংরাজি সাহিত্য নিয়াই থাকেন। নয়তো আজকালকার পোলাপাইন আপনার তাঁর ছিড়া বয়ান নিয়া কামড় দিয়া ধরবো। জামানা বদলায় গেছে। সেইটার হদিশ তো পান নাই। তাই কইয়া দিলাম।

লেখাটির ফেইসবুক ভার্সন পড়তে চাইলে এইখানে ক্লিক করুন

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Feeling social? comment with facebook here!

Subscribe to
Newsletter