সেকুলার বুদ্ধিজীবীরা এ বিষয়ে মোটামুটি একমত যে, সব ধর্মেই মানবতার জয়গান গাওয়া হয়েছে।
তাই যদি হয়, তাহলে স্বীকার তাদের করতে হবে যে, ধর্মের ভেতরে মানবতার উপাদান নিশ্চয়ই আছে। তা যদি থাকে, তাহলে সেটাকে কেন রাজনীতিতে নিয়ে আসতে এতো আপত্তি? রাজনীতিতো মানুষের জন্যই, মানবতার জন্যই। তাই নয় কি?
রাষ্ট্র -ধর্ম-রাজনীতির বিষয়ে এই প্রশ্নের যুৎসই কোন উত্তর আমাদের সেকুলারদের হাতে নেই। কেননা তারা ধর্মের সাথে রাজনৈতিক ফয়সালার ধরণটা জানে না। ধর্মের সাথে রাজনৈতিক ফয়সালার মানেটা কী সেটাও তারা জানেনা। কারণ ধর্ম বিষয়টা কী, তা কী নিয়ে ডিল করে সেটা তারা জানেনা। তাই ধর্মের সাথে রাজনৈতিক ফয়সালার হিম্মত তাদের হয়না।
সম্ভবত তারা জানেও না ইউরোপ কোন দীর্ঘ পথে ধর্মের সাথে রাজনৈতিক ফয়সালা করেছে। রাজনৈতিক ফয়সালা মানে ধর্মকে বাদ দেয়া নয়, বরং ধর্মকে আত্মস্থ করে এগিয়ে যাওয়া। ইউরোপে সমাজে ও রাষ্ট্রে ধর্ম পূর্ণ ভাবেই বর্তমান। তবে সেটা ধর্মের জোব্বা পরে নাই। তাই ধর্ম বলে সেটাকে চেনা যায়না।
বাংলাদেশের স্যেকুলারেরা ধর্মকে আদালত আর রাজনৈতিক ক্ষমতা দিয়ে, ডিক্রি জারি করে মোকাবেলা করতে চায়। তাদের ইউরোপ হবার বুদ্ধিবৃত্তিক হিম্মত নাই, কিন্তু খায়েশ আছে ষোল আনার উপরে আঠারো আনা।