মেসবাহ কামালেরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুল সমস্যা আবিষ্কার করেছেন। তার মতে ঢাবির মুল সমস্যা হচ্ছে, ষাট শতাংশ মাদ্রাসা ছাত্র ভর্তি হচ্ছে ঢাবিতে এবং তার মতে তাদের ইংরেজি জ্ঞান দুর্বল। তাই ঢাবিতে উচ্চশিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে এবং ঢাবি একটি উচ্চতর মাদ্রাসায় পরিণত হয়েছে।
ঢাবি বিশ্ববিদ্যলয়ের মুল সমস্যা মেসবাহ কামালের মতো বেকুব, আত্মম্ভরি, রেইসিস্ট, ইসলামোফোব মানুষ শিক্ষকতার সুযোগ পেয়েছে। তার উত্থাপিত তথ্যগুলো সবগুলোই ভুল। ঢাবির ষাট শতাংশ ছাত্র মাদ্রাসা থেকে আসেনা। যারা ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করছে তারা ভালো ইংরেজি জ্ঞান নিয়েই ভর্তি হয়।
কথা সেটা নয়। কথা হচ্ছে, মেসবাহ কামালেরা যেভাবে মাদ্রাসার বিরুদ্ধে শ্রেণী ঘৃণা ছড়াচ্ছেন, তিনি কি পালটা ঘৃণা ঠেকাতে পারবেন, বা পালটা যুক্তি। আসেন দেখি পালটা যুক্তি কী হতে পারে।
মেসবাহ কামালের তথ্য যদি মেনে নেই, যে মাদ্রাসা ছাত্ররা ইংরেজি ভালো জানেনা তাই উচ্চশিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে ঢাবিতে। তাহলে ঢাবিতে আরবিতে উচ্চশিক্ষা তিনি মেনে নেবেন কি? মাদ্রাসা ছাত্ররা ঢাবিতে তার মতে সংখ্যাগুরু আর তারা যেহেতু আরবিতে ভালো তাহলে যুক্তি হিসেবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উচ্চশিক্ষার মানের সমস্যা সমাধানের জন্য আরবিতে উচ্চশিক্ষার পক্ষে মেসবাহ কামালের কোন আপত্তি থাকার কথা নয়।
মেসবাহ কামাল কি এই পালটা প্রস্তাব মেনে নিতে রাজি আছেন?