বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনুসারে প্রত্যেক বছর বাংলাদেশে প্রায় এক হাজার প্রমাণিত মেডিক্যাল নেগলিজেন্সের ঘটনা ঘটার কথা। যার মধ্যে অংগহানী থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। বাংলাদেশে কতগুলো মেডিক্যাল নেগলিজেন্সের ঘটনা প্রমানিত হয় বছরে? আমার অনুমান একটাও নয়।
তাহলে কি বাংলাদেশে মেডিক্যাল নেগলিজেন্স ঘটছে না? অবশ্যই ঘটছে, কিন্তু সেটার জন্য কোন আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি কাউকে হতে হচ্ছে না। বিষয়টা অদ্ভুত। এক বিপুল ইনডেমনিটি ভোগ করছেন চিকিৎসক সম্প্রদায়। ইনডেমনিটি না পেলে চাপ প্রয়োগ করে ইনডেমনিটি আদায় করে নেয়া হচ্ছে।
এটা নিয়ে দৃশ্যত কোন গ্লানি চিকিৎসক সমাজকে ভোগ করতে হচ্ছেনা। তাহলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর রাগ ক্ষোভ অভিমান প্রকাশিত হবে কীভাবে?
যেখানে প্রকৃত নেগলিজেন্সের ঘটনা হয়তো বছরে হাজার খানেক বা তারও কম; সেখানে এই ইনডেমনিটির কারণে এক কোটি মানুষ মনে করে সে মেডিক্যাল নেগলিজেন্সের শিকার।
চিকিৎসা সেবায় তাহলে চেক এন্ড ব্যালান্স কোথায়? নেই, একেবারেই নেই।
আমাদের রাষ্ট্র ক্ষমতার যেমন চেক এন্ড ব্যালান্স না থাকার জন্য ফাংশনিং গনতন্ত্রটাই নাই। তেমন মেডিক্যাল প্র্যাক্টিসে চেক এন্ড ব্যালান্স না থাকার জন্য পেশার যে দক্ষতা বা স্কিল বাড়ার কথা ছিল, যেই পেশাদারিত্ব থাকার কথা ছিল সেটা থাকছে না।
এই যে পাকচক্রে পড়ে গেছেন চিকিৎসকেরা, এবনহ যেটাকে তাদের রক্ষাকবচ বলে মনে করছেন, সেটাই তাদের পেশার জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিচ্ছে।
আমাদের চিকিৎসকদের অনেকেই তো বিদেশে চিকিৎসা নিতে যান। আপনি কীভাবে চিকিৎসা দেন আর উনারা কীভাবে চিকিৎসা দেন, তফাতটা খেয়াল করেন।
আমাদের দেশে যারা সফল ডাক্তার হিসেবে পরিচিত, দেখবেন, তাদের প্রত্যেকের দেশের বাইরে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে।
নিজের সমস্যা নিজেই আইডেন্টিফাই করতে শেখেন। এতে দেশের মানুষের তো লাভ হবেই, আপনার লাভ হবে তার চেয়েও বেশী।
ভেবে দেখেন আমার কথাটা।