যে সমস্ত স্যেকুলারেরা মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত না গাওয়াইতে পাইর্যা বহুত পেরেশানিতে আছেন, তাদের কাছে এই অধমের দুইটা বিনীত প্রশ্ন।
১/ মাদ্রাসা আর স্কুল কি সমার্থক?
২/ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে কি জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়?
মাদ্রাসা আর স্কুল সমার্থক নয়। মাদ্রাসা একই সাথে কিন্ডারগার্টেন, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। মাদ্রাসার সর্বশেষ ডিগ্রী হইতেছে মাস্টার্স। একই প্রতিষ্ঠানে নানা লেভেলের শিক্ষা ব্যবস্থা থাকলে সেই প্রতিষ্ঠানের সকল নিয়ম ও রীতি সর্বোচ্চ যে শিক্ষা ব্যবস্থা আছে তার সাপেক্ষে হতে হয়। তার মানে মাদ্রাসায় যে রীতি থাকবে তা হতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সাথে সাযুজ্যপুর্ণ।
আপনি তো কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইন ধরে জাতীয় সংগীত গান না। তাইলে মাদ্রাসা যেখানে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরাও থাকেন, সেইখানে জাতীয় সংগীত গাওয়ানোর জন্য জোর করতে চাইতেছেন কেন?
আপনি বরং আগে জবাব দেন আপনি কেন স্যেকুলার কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইন ধরে জাতীয় সংগীত গাইতেছেন না?
3 thoughts on “মাদ্রাসা আর স্কুল সমার্থক নয়।”
কেউ তো দাদার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেনা…
Banchod, madrasa tor putki diye dhukabo. Tor fb hack kore ki kori dekh
ভালো বলেছেন।
তবে আলেম সমাজ তারা এই সঙ্গীতের মাঝে হালকা হালকা শরীকের গন্ধ পান তাই তারা সাধারণত গান না এবং গাইতে উৎসাহ দেন না।
যেমন-‘চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস’
মুসলিমরা সোজা ভাষায় বোঝে আকাশ বাতাস সবি আল্লাহর।
তাই সেটা দেশের হয় কি করে?
জাতীয় সঙ্গীত না গাইলে তার মাঝে যে দেশ প্রেম গড়ে ওঠেনা এটার কোন যৌক্তিকতা নেই।
আমিতো মনে করি যারা জোড় গলায় জাতীয় সঙ্গীত গান তারাই দেশকে বেশি কূপে ফেলেছেন।
দেশের এসব শিশুরা বা আলেমরা ফালায়নি। এসব মাদ্রাসায়তো আপনি টাকা দেন না,অর্থ দেন না,তো জাতীয় সঙ্গীত গাইতে জোড় করছেন কেন?
একটা জিনিস মনে রাখতে হবে তাদের ,এই দেশে যদি কোথায় জাতীয় সঙ্গীত না গাওয়া হয় তবে দেশের সচেতন নাগরিকদের দেশের প্রতি ভালোবাসা এতটুকুনও কমবেনা।
আর যারা অসভ্য ,তাদের ঘন্টায় ঘন্টায় গাওয়াইলেও অসভ্যতা কমবেনা।