প্রকাশ্য চুম্বন আমাদের সংস্কৃতির সাথে যায়না। এটা অনেকেই বলছেন কিন্তু কেন যায়না? কোথায় এটা সাংঘর্ষিক? এটা নির্ভর করে চুম্বনের কালচার সমাজতাত্ত্বিক ভাবে সেই নির্দিষ্ট সমাজে কীভাবে বিবর্তিত হয়েছে।
গ্রীকরা যৌনচর্চা হিসেবে প্রথম চুম্বন শেখে ভারতবর্ষ থেকেই যখন আলেকজান্ডার ভারতবর্ষ আক্রমন করেছিল। ধারণা করা হয় গ্রীক থেকে চুম্বন শেখে ইউরোপ। ইউরোপে চুম্বন ভালোবাসার প্রতীক। চুম্বনের কালচার এভাবেই ইউরোপে বিবর্তিত হয়েছে; তাই ইউরোপে প্রকাশ্যে এই ভালোবাসার প্রকাশে বাধা নেই।
ভারতবর্ষ এবং এশিয়ায় চুম্বন ভালোবাসার প্রতীক নয় বরং যৌন সংগমের অংশ; তাই চুম্বন একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়, কাউকে দেখাবার বিষয় নয়। এশিয়ান কোন দেশেই সেই কারণে প্রকাশ্য চুম্বন সামাজিকভাবে স্বীকৃত নয়। ইউরোপিয়ানরা যখন প্রথম জাপানে যায় তাঁরা ভেবেছিল জাপানীরা বোধ হয় চুম্বন করেনা। কারণ চুম্বন জাপানে প্রকাশ্য নয় এমনকি জাপানি ভাষার রোম্যান্টিক চুম্বন প্রকাশ করার জন্য কোন শব্দও ছিল না।
আমাদের চুম্বনের পশ্চিমা বয়ান এবং বিবর্তনের ইতিহাস গ্রহণ করতে হবে নইলে আমরা আধুনিক নই এমন নির্বোধ আবদার বোধহয় বাংলাদেশেই সম্ভব। আমাদের চুম্বন শিখতে হবে ইউরোপের কাছে থেকে!!!
আমার এই লেখা দেখে কেউ কেউ কমেন্ট বক্সে এশিয়ানদের প্রকাশ্য চুম্বনের দুই একটা ছবি দিয়ে প্রমান করতে চাইবে আমার কথাগুলো ভুল। কান দেবেন না সেই কমেন্টে, কারণ, বাংলাদেশে শুধু বিস্বাদ ফার্মের মুরগীই চাষ হয়না, পাইকারি হারে শূন্য মস্তিষ্ক মুক্তমনাদেরও চাষ হয়।