বাংলাদেশের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম জন্যই বাংলাদেশ ইসলামি রাস্ট্র নয়।

এই লেখায় একজন তরুণ বামপন্থী নেতা বাকী বিল্লাহর লাইক আছে। তাই বিষয়টা চিন্তার বাকী এখানে কী দেখে লাইক দিল?

প্রথমত, এখানে ইসলামী রাষ্ট্র বলতে বাংলাদেশকে বুঝানো হয়েছে। কেন বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র বলা হয়েছে সেটা জিজ্ঞেস করাতে গর্গ বলেছে, কারণ বাংলাদেশের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম তাই (কমেন্ট সেকশন দেখুন)। এখন প্রশ্ন হচ্ছে রাষ্ট্র ধর্ম দিয়ে রাষ্ট্রের নির্ধারক চরিত্র নির্নয় করা হয় কিনা? উত্তর হচ্ছে না। তাহলে বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়া একটি বিদ্বেষমূলক আচরণ।

সংশ্লিষ্ট স্টাটাসে “ঢুকতে দেয়না” এই শব্দ দিয়ে ট্রাম্পের এক্সিকিউটিভ অর্ডার আর বাংলাদেশের ইজরায়েলের কুটনৈতিক সম্পর্ক সমতুল্য বিষয় বানানো হয়েছে যেটা অগ্রহনযোগ্য। এটা সিরিয়াস আলোচনার চাওয়ার লক্ষণ নয়। বরং এটাকে কুতর্ক বলা যায়

শুধু শব্দ না। ট্রাম্প ন্যায্য-অন্যায্য যা কিছু কারণ দেখিয়েছে সেটার ভিত্তিতে তর্কের পয়েন্ট বলতে হবে। শুধু “ঢুকতে দেয়না” বললে হবে না। ওর লিগাল ও পলিটিকাল তর্কের পয়েন্ট সেখান থেকে আসবে।

বাংলাদেশ “ইসরায়েলের কাউকে ঢুকতে দেয়না” এমন কথা বাংলাদেশ কোথাও বলে নাই। বাংলাদেশ ইসরায়েলকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেয় নাই, যেটা নানা কারণে যে কোন দুই রাষ্ট্র পরস্পরকে নাই দিতে পারে। না দেয়াটা কোন লিগাল ইস্যু না। অন্যায় নয়। তবে ইসরায়েল এর বেলায় বাংলাদেশের আরও কিছু সিরিয়াস আপত্তি আছে। কারণ এটা অন্যের বাড়িঘর সম্পত্তি দখল করে তাদেরকে বে-ঘর করে সে ভুমিতে জবরদস্তি নিজেদের বাড়িঘর এবং রাষ্ট্রের জন্ম দেয়া হয়েছে তাই বাংলাদেশ এই রাষ্ট্রকে স্বীকার করে না। জন্ম থেকেই করে না। আর বহু পুরানা ইউএন প্রস্তাব অনুসারেই ইসরায়েল ভুমি দখলকারি।

ট্রাম্প শুধু সাতটি দেশ থেকে যেকোন মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেনি বরং সাথে সাথে আরো বেশী সময়ের জন্য যেকোন রিফিউজি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আমেরিকার আরব স্প্রিং এর কর্মসুচিতে এবং এরও আগে ইরাক-আফগানিস্তানে ম্যাসাকার চালানোর ফল হিসাবে এই রিফিউজি বিপর্যয়ের জন্ম। ফলে পশ্চিমা দেশগুলো মুখ দেখানোর লজ্জায় পড়ে এদের রিফিউজি হিসাবে নিয়েছে। সেই লজ্জা ঝেড়ে ফেলে ট্রাম্প রিফিউজি প্রবেশ বন্ধ করেছে।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত ইসলাম-বিদ্বেষ হিসেবে বাংলাদেশের সোশাল মিডিয়া দেখে, তাই তারা এর বিরুদ্ধে সোচ্চার; বাংলাদেশ সরকার নয়।

কিন্তু এরপরেও ইজরায়েলের সাথে বাংলাদেশের কুটনৈতিক সম্পর্ক কীভাবে ট্রাম্পের বর্নবাদী সিদ্ধান্তের সাথে তুল্য হয় আশা করি গর্গ তা পরিস্কার করবে। এবং বাকী বিল্লাহ ও স্পষ্ট করবে সে কেন এই লেখায় লাইক দিল?

 

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Feeling social? comment with facebook here!

Subscribe to
Newsletter