“রাষ্ট্র” ধারণার সঙ্গে “বন্ধু রাষ্ট্র” ধারনাটা সাংঘর্ষিক।দুটো রাষ্ট্র আলাদা হয় এই কারণেই যে দুই রাষ্ট্রের কিছু মৌলিক ভিন্নতা আছে; এবং এই মৌলিক ভিন্নতা পরস্পরের প্রতিযোগী। মৌলিক ভিন্নতা না থাকলে দুই রাষ্ট্র হওয়ার কোন যৌক্তিকতা থাকেনা। এক রাষ্ট্র সব সময়েই আরেক রাষ্ট্রের প্রতিযোগী। দুই বা ততোধিক রাষ্ট্রের সাময়িক কোন ঐক্য হয়ে থাকলে সেটা কোন প্রতিযোগী রাষ্ট্রের বা রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিযোগিতা মোকাবেলা করার জন্যই। এই মিত্রতা সাময়িক। কোন যৌথ লক্ষ্য অর্জনের জন্য গড়ে ওঠা সেই সাময়িক মিত্রতাকে দীর্ঘ মেয়াদে পর্যবসিত করার অর্থই হচ্ছে দুই রাষ্ট্রের মৌলিক ভিন্নতাকে অস্বীকার করা, এবং ভিন্ন রাষ্ট্র হিসেবে তাদের প্রত্যেকের অস্তিত্বকে বিপন্ন করা।
একটা রাষ্ট্র সবসময়েই আরেকটা রাষ্ট্রের প্রতিযোগী এবং প্রচ্ছন্ন ও সাম্ভব্য শত্রু। ভারত ও বাংলাদেশে রাষ্ট্রের স্বার্থ আর লক্ষ্য আলাদা তাই আমরা আলাদা রাষ্ট্র। তবে হ্যা কখনো কখনো কোন ইস্যুতে আমরা একসাথে কোন লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করতেই পারি, তাই বলে সেটাকে বন্ধুত্ব বলেনা।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের স্বার্থ সুপ্রিম, এতে অন্যের স্বার্থহানী হলেও কিচ্ছু করার নাই। বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য ইণ্ডিয়ার পুংগা মারা গেলেও করার কিছু নাই। রাষ্ট্র এভাবেই চলে। ঠিক একইভাবে ভারতের স্বার্থ রক্ষার জন্য আমাদের পুংগা মারা গেল কিনা সেইটা ভারত দেখবে না।
যারা বন্ধু রাষ্ট্রের ধারণা বাংলাদেশে ফেরি করে তারা রাষ্ট্র বিষয়টা বুঝে নাই। তাদের হাতে রাষ্ট্র নিরাপদ নয়।
One thought on ““বন্ধু রাষ্ট্র” একটি উদ্ভট ধারণা”
অসাধরন ডাঃ পিনাকি সাহেব । আললাহ পিনাকিদের চিরজিবি করুন আমাদের জন্য আমীন ।