প্লিজ,মাথা দিয়া পাহাড় ঠেইলেন না।

মাদ্রাসায় সকালে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়াতে হবে, এইটা নতুন স্যেকুলার প্রজেক্ট।

দেশ কালের সীমানা ছাড়িয়ে গত ১৪০০ বছর ধরে ইসলাম ধর্মের চর্চার যে ঐতিহ্য সৃষ্টি হয়েছে, আমাদের স্যেকুলারেরা তার ছেদ চান।

মাদ্রাসা স্যেকুলার স্কুল নয়; ইসলাম ধর্মের ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এইটা বুঝতে হবে।

আমার জানা মতে, নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ওপর অবতীর্ণ ওহি বা প্রত্যাদেশের প্রথম শব্দ ছিল ‘পড়ো’। তাই একজন মাদ্রাসা ছাত্র তাঁর প্রতিপালকের নামে যিনি তাঁকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর কিতাব পাঠ করেই তাঁদের শিক্ষাকর্মকাণ্ড শুরু করবে; এটাই স্বাভাবিক। পাঠ তাঁর স্বাভাবিক প্রথম রিলিজিয়াস রিচুয়াল হওয়ার কথা। কিন্তু স্যেকুলার আবদার রক্ষা করতে গিয়ে কোরআন পাঠ দিয়ে দিন শুরু করার বদলে, তাঁর দিন শুরু করতে হবে রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে!!!

এটা মাদ্রাসার সাথে সংশ্লিষ্ট কেউই মানতে পারবেন না। এইটা বুঝার জন্য আইনস্টাইন হইতে হয়না।

এই স্যেকুলারেরা এতোই বেকুব যে এই আবদার করে তারা ধর্মের হাজার বছরের ঐতিহ্যকেই যে বদলে ফেলতে চাইছে, সেটাও বুঝতে পারছে না।

জাতীয় সঙ্গীত আমরা গাই, সিনেমা হলে গাই, স্কুলে গাই, খেলার মাঠে গাই, দরকার হলে আমাদের ট্রেনে বাসে, প্লেনে ওঠার আগে গাইয়ে নেন অসুবিধা নাই কিন্তু মাদ্রাসায় সকালে জাতীয় সঙ্গীত গাইয়ে নিয়ে আপনার স্যেকুলার ইগোকে তৃপ্ত করতে যাইয়েন না প্লিজ। মাথা দিয়া পাহাড় ঠেইলেন না।

কোন ইস্যুরে কেমনে ডিল করতে হবে, কেন ডিল করতে হবে এইটা শিখতে আপনার ঢের দেরী আছে।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Feeling social? comment with facebook here!

Subscribe to
Newsletter