নুসরাত ফারিয়ার “পাটাকা” গানটা দেখলাম ইউ টিউবে।
“পাটাকা” শব্দটার সাথে প্রথম পরিচয় কোলকাতা ক্লাবে। আমার মতো মদ্যপানে নিরাসক্ত সংগীর জন্য কোন নিরামিষ পানীয়ের অর্ডার দেয়া যায়, সেটা চিন্তা করতে করতে আমার বন্ধুরা “পাটাকা” অর্ডার দিলেন। সোডা ওয়াটারের মধ্যে নানা মশলা মিশিয়ে তৈরি এই “পাটাকা”। দারুণ স্বাদ, যাকে বলা যায় ট্যানটালাইজিং।
“পাটাকা” মানে কী, জানতে চাইলে বন্ধুরা বললো এটা আতসবাজি বা ফায়ার ক্র্যাকার্সের হিন্দুস্তানি উচ্চারণ। আর আরেকটা মানে আছে সেটা হচ্ছে পাঞ্জাবী স্ল্যাং। হট গার্লকে পাঞ্জাবী ভাষায় লোফার পোলাপাইন “পাটাকা” বলে ডাকে।
নুসরাত ফারিয়ার গানে পাঞ্জাবী স্ল্যাং টাই ব্যবহার করা হয়েছে। সে নেচে নেচে ঘোষণা করছে, যে সে “পাটাকা” হয়েছে; “হয়েছিরে পাটাকা”। এভাবেই বাংলাদেশে অপরিচিত এই শব্দটাকে বাংলা ভোকাবুলারিতে ঢুকিয়ে দেয়া হবে। ছাত্রলিক মার্কা পোলাপাইন রাস্তায় মেয়েদের “পাটাকা” বলে ডাকবে। কেউ কেউ নুসরাত ফারিয়ার মতো “পাটাকা” হওয়ার আপ্রাণ চেস্টায় নিয়োজিত হবে।
এই গানটার সাথে নুসরাত ফারিয়া না নাচলে বাংলাদেশে এই গানটা এতোটা পরচিতি পেতোনা।
আমাদের দেশের মেয়েদের অরুন্ধতী রায় বা বেগম রোকেয়া না বানিয়ে পাঞ্জাবী “পাটাকা” বানানোর উস্কানি দেয়া হবে। আর নুসরাত ফারিয়ারা অল্প পয়সায় বিক্রি হয়ে পাছা দুলায়ে সেই এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে।
উর্দু হরফে বাংলা লেখানোর শয়তানী বাস্তবায়িত না হলেও; হিন্দুস্থানি ভোকাবুলারিতে বাংলা বলানোর প্রজেক্ট এভাবেই এগিয়ে চলবে যদিও গানের শিল্পী, গীতিকার আর সুরকার সবাই বাংলাদেশী। আফসোস!!!