দেরিদার Transcendental signified (ট্র্যান্সেন্ডেন্ট্যাল সিগনিফাইড) বিষয়টা তাঁর গ্র্যামাটোলজিতে গুরুত্বপূর্ণ। এটা বুঝতে হলে “সিগনিফাইড” বলতে দর্শনে কি বুঝায় সেটা একটু দেখতে হবে।
Signified শব্দের প্রথম চার অক্ষর “Sign” বা চিহ্ন। ধরুন আমরা গরু বুঝাতে চাই। তাহলে আমাদের “গরু” শব্দটা লিখতে হবে বা উচ্চারণ করতে হবে। চিহ্ন এবং উচ্চারিত শব্দ হচ্ছে “সিগনিফায়ার” এবং এই সিগনিফায়ার দিয়ে আমরা গরু নামের একটা জন্তুকে বুঝি, কোন বিশেষ গরুকে বুঝিনা। সিগনিফায়ার দিয়ে আমরা যে গরু নামের জন্তুকে (বিশেষ কোন গরু নয়) বুঝি সেটাকে বলে সিগনিফাইড। আমরা তো মাঠে গরু বলতে একটা বিশেষ গরুকেই নির্দেশ করি, তাহলে? সেই বিশেষ গরু হচ্ছে রেফারেন্ট। নিউজিল্যান্ডের গরু আর বাংলাদেশের গরু এক নয়, দেখতে বলুন, স্বভাবে বলুন এক নয়। কিন্তু দুই ভিন্ন প্রজাতির গরুকেই আমরা “গরু” বলে চিনছি। তাহলে এই দুই প্রজাতির গরুর মধ্যে নিশ্চয় এমন সাধারণ কিছু আছে যা দিয়ে আমরা সেটাকে “গরু” বলে চিনতে পারি, সেটা কী? সেটা হচ্ছে “গরুত্ব”।“গরুত্ব” হচ্ছে সিগনিফাইড। “গরুত্বের” মত এমন সিগনিফাইড গুলো যেমন “মনুষ্যত্ব” এসব কোথায় আছে? প্লেটো বলেছিলেন এসব আছে আদার ওয়ার্ল্ডে। এই সিগনিফাইড গুলো ডিফাইন করেন ঈশ্বর নিজে। তিনি ঠিক করেন “গরুত্ব” বলতে আমরা কী বুঝবো। এটাকেই বলে Transcendental বা তুরীয় বা অতীন্দ্রিয়।
তার মানে অতীন্দ্রিয় ভাবে যে ইনার মিনিং কে সিগনিফাই করা হয় সেটাকে বলা হয় Transcendental signified (ট্র্যান্সেন্ডেন্ট্যাল সিগনিফাইড)। এই Transcendental signified (ট্র্যান্সেন্ডেন্ট্যাল সিগনিফাইড) চিন্তার ইতিহাসে বারে বারে এসেছে নানা নামে, পরমাত্মা, ডিভাইন উইল, কনশাসনেস। পাশ্চাত্য চিন্তায় Transcendental signified (ট্র্যান্সেন্ডেন্ট্যাল সিগনিফাইড) ই শব্দের বা চিন্তার প্রকাশের এর ইনার প্রিন্সিপল বা সেন্ট্র্যাল এবং এর সাথে যুক্ত থাকে একটি মেটাফিজিক্স অব প্রেজেন্স।
ওরে বাবা, মেটাফিজিক্স অব প্রেজেন্স আবার কী? এইটা কাল বলি?