দেরিদার আরেকটা ইনফ্লুয়েন্সিয়াল কাজ হচ্ছে গ্রামাটোলোজি।
গ্রামাটোলোজিতে তিনি দেখিয়েছেন মুখের ভাষা এবং হাতের লেখা দুই বাইনারি অপজিট, যেখানে মুখের ভাষা সেন্ট্র্যাল ও প্রাকৃতিক এবং হাতের লেখা মার্জিন্যাল এবং কৃত্রিম। প্ল্যাটো থেকে রূশো, এমনকি আধুনিক লিঙ্গুইস্ট সাসুর, স্ট্র্যাকচারালিস্ট ক্লদ লেভি স্ট্রস সবাই মুখের কথাকে লেখার চাইতে বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন। দেরিদা এই বায়াস কে বলেছেন লোগোসেন্ট্রিজম।
লোগোসেন্ট্রিজম শব্দটা এসেছে গ্রিক শব্দ লোগো থেকে, যার অর্থ; সত্য, রিজন, এবং আইন। গ্রীকরা মনে করতো লোগোস হচ্ছে মানব মনের গভীরে, কথার মধ্যে, মহাবিশ্বের মধ্যে লুকিয়ে থাকা কসমিক প্রিন্সিপল বা মহাজাগতিক নীতি। তাই লোগোসেন্ট্রিক রা বিশ্বাস করে মুখের শব্দই সত্য, শব্দ সেই সেন্ট্রালের এক্সপ্রেশন, মৌলিক এবং শাশ্বত। নিউ টেস্টামেন্টে আছে, ইন দ্য বিগিনিং ওয়াজ দ্য ওয়ার্ড, অ্যান্ড দ্য ওয়ার্ড ওয়াজ উইথ দ্য গড, অ্যান্ড দ্য ওয়ার্ড ওয়াজ গড। শব্দের শুদ্ধতা নষ্ট করা, মিথ্যা বলা সেকারণেই সব ধর্মেই পাপ। ধর্মগ্রন্থ এমনকি চারণ গান আগে মুখে মুখে ফেরে, লেখা হয় অনেক পরে, কারণ মুখের শব্দই শুদ্ধ –প্রাকৃতিক, লিখিত রূপ অশুদ্ধ। ভারতীয় দর্শনে ‘শব্দ ব্রহ্ম’। এই ব্রহ্ম আছে বলে আমরা শব্দ শুনতে পাই। শব্দ শুদ্ধ জন্যই শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে দর্শন পৃথিবীকে দেখেছে সেই এক তুরীয় বা অতীন্দ্রিয় কারণের ফল হিসেবে। এটাকে দেরিদা বলেছেন ট্র্যান্সেন্ডেন্ট্যাল সিগ্নিফাইড (transcendental signified)। ট্র্যান্সেন্ডেন্ট্যাল সিগ্নিফাইড টা আবার কী?
মাথা ঘুরতাছে, এইডা কাল কমুনি।