এই সিরিয়াল কিলাররা কি রাষ্ট্র যন্ত্রের চাইতে শক্তিশালী? এদের প্রত্যেকটা খুন নিশ্ছিদ্র। শিওর শট; ঠাণ্ডা যুদ্ধের এসপিওনাজ কাহিনীর মতো দুর্ধর্ষ। এতোখানি প্রফেশন্যাল যে অবিশ্বাস্য। কেউ ধরা পড়েনা, নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। কেউ কপাল গুনে ধরা পরলেও ওখানেই শেষ হয়ে যায় ফারদার অনুসন্ধানে মাস্টার মাইন্ডের হদিসের কাজ।
খুনগুলোর একটা প্যাটার্ন আছে। ব্যবহার করা হয় চাপাতি, যদিও দেখা যাচ্ছে সাথে তাদের আগ্নেয়াস্ত্র আর বোমা থাকে। খুনের আগে বা পরে নারায়ে তাকবির বা আল্লাহু আকবর শ্লোগান দেয়, এরপর আই এস দায় স্বীকার করে। প্রকাশক টুটুল আহত হয়ে বেঁচে যাবার পরে অল্প সময়ের মধ্যেই দীপনের খুন। যেন খুনিদের কেউ ধমক দিয়ে বলছে, আরে মরে নাই তো। খুনিরা সল্প সময়ে প্রস্তুত হয়ে তালিকা ধরে এক্সিকিউট করে আরেকজনকে। যেন পূরণ হয় কোটা। ওদের হাতে আছে যেন এক তালিকা, এক এক করে নাম কাটছে। কারা মরছে লক্ষ্য করুন; নাস্তিক ব্লগার, তার প্রকাশক, কনভার্টেড মুসলিম, হিন্দু পুরোহিত, নির্বিবাদি সঙ্গিতপ্রেমি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, সমকামিদের নিয়ে কাজ করা এক্টিভিস্ট। যেন খুব সহজেই কারো দিকে আঙ্গুল তুলতে পারে সবাই।
এই সিরিয়াল কিলারদের তালিকায় নাম আছে কাদের? অনুমান করা অসম্ভব। কারণ বিচিত্রভাবে তাদের তালিকায় নতুন কিছু ক্যাটেগরি যুক্ত হচ্ছে। সেই বিচিত্র ক্যাটেগরি অনুসৃত প্যাটার্নের সাথে মিলে যায়। ক্রমাগত বিচিত্র, অকল্পনিয় এবং অপরিচিত টার্গেটে আঘাত করছে তারা।
এই অনুমান অসঙ্গত নয় যে এই সিরিয়াল কিলারেরা অতীব শক্তিশালী। কিলিং মিশনে যতজনই থাকুক, একটা বড়সড় পেশাদার টিম দিয়ে ভিক্টিমের গতিবিধি নিখুঁতভাবে জেনে নেয় তারা। তাদের এস্কেইপ রুট ও নিশ্ছিদ্র। তারা কি রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার চাইতেও বেশী শক্তিশালী?
বিএনপি আমলে সিরিজ বোমা হামলার কারিগর জে এম বির দুর্ধর্ষ এবং বিস্তির্ন নেটওয়ার্ককে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে পারে যেই রাষ্ট্রীয় বাহিনী তারা এই সিরিয়াল কিলারদের টিকির খোঁজ পায়না, এটা অবিশ্বাস্য।