জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল শী ইজ প্রিটি, এতে কোন সন্দেহ নেই।

জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল নিয়ে, নয়তো সুন্দরী প্রতিযোগিতার মরাল জাজমেন্ট নিয়ে অনেকেই অনেক কিছু লিখেছেন আমি সেই বিষয়ে যাচ্ছিনা। আমি শুধু এভ্রিলকে নিয়েই লিখবো।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সে বিবাহিত হয়ে কেন এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিলো যেখানে এই প্রতিযোগিতা শুধু অবিবাহিতের জন্য। এভ্রিল খুব ইন্টেলিজেন্টভাবে এটার জবাব দিয়েছে। সে বলেছে তার মর্মার্থ হচ্ছে বিয়েটা একটা লিগ্যাল কন্ট্র‍্যাক্ট, যেহেতু তার বাল্যবিবাহ হয়েছিল তাই সেই বিয়ে লিগ্যালি ভ্যালিড নয়। শী হ্যাজ এ গুড পয়েন্ট। তবে সুন্দরি প্রতিযোগিতায় অবিবাহিতা বলতে যদি ভার্জিন বা কুমারী বুঝিয়ে থাকে আয়োজকেরা তাহলে সেখানেও তার যুক্তি হচ্ছে, এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া কয়জন ভার্জিন আছে সেটা আগে পরীক্ষা করে দেখা হোক। অবিবাহিতা মানেই ভার্জিন এটা স্বতঃসিদ্ধ নয়। পারলে আয়োজকেরা ঘোমটা খুলে সাহস করে বলুক এটা ভার্জিনদের প্রতিযোগিতা।

আমার এভ্রিলের বিষয়ে আগ্রহ তৈরি হল তার কন্সট্যান্ট ফাইট দেখে, আর তার আর্গুমেন্ট তৈরির চমৎকারিত্ব দেখে।

সে একজন গ্রাম্য কিশোরী ছিল বিয়ের সময়, সে নিজেও দাবী করেছে সে কৃষকের মেয়ে। সেখান থেকে এই আরবান ট্রান্সফর্মেশন বিস্ময়কর। সে যেভাবে বাইক চালায় এইটা কয়টা আরবান মেয়ে শিখতে পারে? অবিশ্বাস্য বাইকের স্কিল তার। এমনকি সে তার সুন্দরি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার পিছনেও একটা সোশ্যাল কজ খুজে বের করেছে। সেই কজটা, হচ্ছে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি।

আমি তো এই মেয়েটাকে এপ্রিশিয়েট করা ছাড়া দোষ দেয়ার কিছু পাইনা। তার খেতাব থাকলো কি থাকলো না সেটা ভিন্ন আলাপ। কিন্তু সে তার বিয়ের খবর লুকিয়ে প্রতারণা করেছে বলে যেই অভিযোগ এসেছে সেটার জবাব সে খুব সাকসেসফুলি দিয়েছে।

এভ্রিল লড়াকু মেয়ে হিসেবে অনেকের মনেই একটা লাস্টিং ইম্প্যাক্ট তৈরি করতে পেরেছে। এটা তার খেতাবের চাইতে দামী। সে এখন তার এই ইমেজকে কীভাবে কাজে লাগায় সেটাই দেখার বিষয়।

আর হ্যা, পরিশেষে বলি, শী ইজ প্রিটি, এতে কোন সন্দেহ নেই।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Feeling social? comment with facebook here!

Subscribe to
Newsletter