চেতনাজীবি বাম বুদ্ধিজীবীরা ক্ষমতাসীনদের সাথে থাকতেই পছন্দ করেন। যদিও তাঁদের মুরিদেরা অন্যদের দিকে আঙুল তুলে জানতে চান তাঁদের কয়বার কেবলা পরিবর্তন হয়েছে। হায় যদি তাঁরা তাঁদের গুরুদের কেবলা পরিবর্তনের হিসাব রাখতো তাহলে তাঁদের নিজেদেরই কতই না উপকার হতো।
একটা উদাহরণ দেই। ১৯৭৬ সালে তখন সামরিক শাসন চলছে, ২১শে ফেব্রুয়ারি উদযাপিত হবে। একুশ উদযাপনের জন্য ১৮১ সদস্য বিশিষ্ট একটি একুশ উদযাপন কমিটি গঠিত হয়। তাঁরা একুশ উপলক্ষে একটা যৌথ ঘোষণা ছাপায়। সেই লিফলেটের কয়েকটা নির্বাচিত লাইন দিচ্ছি।
“দেশের সাম্প্রতিক ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর পুর্বে সাড়ে তিন বছর ধরে আমরা দেখেছি স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শক্তির দাপট, দেখেছি জনগনের ভাগ্য নিয়ে নিষ্ঠুর ছিনিমিনি খেলা। ভাষা আন্দলনের ঐতিহ্য পায়ে দলে এদেশের জনগনের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের নামে মানুষকে ঠেলে দেয়া হয়েছে দুর্ভিক্ষ দারিদ্র্যের মুখে। স্বাধীনতার আকাঙ্খাকেই অপমানিত করে আধিপত্যবাদী ও সম্প্রসারনবাদী শক্তির সঙ্গে আঁতাতের ভিত্তিতে তাঁরা নবাধিপত্য কায়েম করতে চেয়েছে এদেশের বুকে।“
এই ১৮১ জন সদস্যের পক্ষ থেকে ঐ প্রচারপত্রটি লেখা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের নাম দিচ্ছি। দেখেন তো চিনতে পারেন কিনা?
শাহরিয়ার কবীর, মুনতাসির মামুন, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হাসান আজিজুল হক, কামাল লোহানী, জাহানার ইমাম, গাজীউল হক, রাশেদ খান মেনন, হায়দার আকবর খান রনো।
তথ্যসুত্রঃ মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী”, সৈয়দ আবুল মকসুদ। আগামী প্রকাশনী, পৃষ্ঠা ৫৩৪-৫৩৫