“ওড়না” শব্দটা নিয়ে স্যেকুলারদের মুল আপত্তি ছিল শব্দটা “মুসলমান গন্ধী”। যদিও তাঁরা সেই কথাটা সরাসরি না বলে ইনিয়ে বিনিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে যে এই শব্দ দিয়ে শিশুমনেই নারী পুরুষ ভেদাভেদ ঢুকিয়ে দেয়া হবে। বাঙলা ভাষায় “ওড়না” শব্দটা ঐতিহাসিকভাবে গাত্রাবরণ হিসেবেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
বাঙলা ভাষায় “ওড়না” শব্দটা প্রথম ব্যবহার করেন বিদ্যাপতি তাঁর পদাবলী-কীর্তনে ১৪৬০ সালে। শব্দটা ছিল তখন “ওড়নি”।
শীতের ওড়নি পিয়া গিরিসের বাও |
বরিসার ছত্র পিয়া দরিয়ার নাও ||
ভনয়ে বিদ্যাপতি শন বরনারী |
সুজনক দুখ দিবস দুই চারি ||
২৮ মার্চ, । ১৮৯৪ রবীন্দ্রনাথ পতিসরে বসে লেখেন,”তপ্ত বাতাস ধুলোবালি খড়কুটে উড়িয়ে নিয়ে হুহু শব্দ করে ছুটেছে— প্রায়ই হঠাৎ এক-এক জায়গায় একটা আজগবি ঘূর্ণি বাতাস দাড়িয়ে উঠে শুকনো পাতা এবং ধুলোর ওড়না ঘুরিয়ে ঘুরতে-ঘুরতে নেচে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে— সেটা দেখতে বেশ লাগে ।”
“ওড়না” শব্দটা বাঙলার ভাষা আর সংস্কৃতির সাথে এভাবেই সেই প্রাচীনকাল থেকেই যুক্ত হয়ে আছে ওতপ্রোতভাবে।