এ পি জে আব্দুল কালাম কেন ইফতার পার্টি দিতেন না!

প্রথম আলোর স্যেকুলার শিরোমনি মিজানুর রহমান “এ পি জে আবদুল কালাম কেন ইফতার পার্টি দিতেন না!” এই শিরোনামে একটা কলাম লিখেছেন। পাচটা নির্দিস্ট পয়েন্টের লেখাটা পড়লেও আপনি বুঝবেন না কেন এপিজে আব্দুল কালাম ইফতার পার্টি দিতেন না? আরো আশ্চর্য হচ্ছে, এই পাঁচটা পয়েন্টে আব্দুল কালামের কয়েকটা বিশেষ চারিত্রিক সৌন্দর্য তুলে ধরলেও মিজানুর রহমান শিরোনাম করলেন ইফতারি নিয়ে। ভাবখানা এমন হু হু দেখো একজন মুসলমান প্রেসিডেন্ট হয়েও কিন্তু তিনিও ইফতার বন্ধ করে দিলেন। এই ভাবটাই আসলে  উস্কানিমুলক।  যেন তিনি এটা একটা “সেকুলার এক্ট” করেছেন তাই এটা খবর!

মিজানুর রহমান যদি আরেকটু কষ্ট করতেন তাহলে এই ইফতার কেন তিনি করান নাই তার একটা উত্তর পাইতেন। কারণ পত্রিকাতে এই বিষয়ে রাষ্ট্রপতির অফিসের একটা বিবৃতি গিয়েছিলো। সেখানে বলা হয়েছিলো,

“The month of Ramzan has a special significance as the Quran Sharief was bestowed as guidance to humanity during this period. During this month, fasting with prayers is observed, Namaaz-e-Taraveeh (special prayers) are held and charity is done.”

“রমজান মাসের বিশেষ গুরুত্ব আছে কারণ এই মাসেই মানবজাতির পথপ্রদর্শক হিসেবে কোরান শরিফ নাজেল হয়েছিলো। এইমাসে রোজার সাথে সাথে মোনাজাতও  করা হয়। নামজে তারাবি (বিশেষ নামাজ) পড়া হয়, হিতৈষিতা (পরোপকার) আচরিত হয়।“

রাষ্ট্রপতির দপ্তর রমজানের এই থিওলজিক্যাল যে ডোমেইন তার মধ্যে থেকেই তার চ্যারিটির জন্য ইফতারের জন্য বরাদ্দ অর্থের সাথে রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত অনুদান যুক্ত করে রমজান মাসে দুঃস্থদের সাহায্যের ব্রত পালন করা হয়েছে। সেটা রাষ্ট্রপতির দপ্তরের বিবৃতিতে স্পষ্টভাবেই বলা ছিল, “”so that the poor and the needy are helped during this holy month” যেন দরিদ্র আর দুঃস্থরা এই পবিত্র মাসে সহায়তা পায়।”

প্রথম কথা হল “ইফতার পার্টি” দেয়া কোন ধর্মীয় রিচুয়াল নয়। আবার এটা ভারতীয় রাষ্ট্রপতিরা সাধারণত যে সব রাষ্টাচার তারা অনুসরণ করে থাকেন তার সঙ্গে সঙ্গতিপুর্ণ রাষ্ট্রাচার বটে। তবে এটা কোন অবশ্য করণীয় ব্যাপার নয়। ফলে রাষ্ট্রপতির ইফতার পার্টি না দেওয়া কোন ধর্মীয় রিচুয়াল ত্যাগ করাও নয়।

এছাড়া সবচেয়ে বড় পয়েন্টঃ তিনি কোন স্যেকুলার এসপিরেশন থেকে ইফতার বন্ধ করেন নাই,বরং ঘোরতরভাবে ইসলামের মৌলিক কিছু বিধান ও নির্দেশ মোতাবেক এক্ট করেছেন। এবং সেটা রাষ্ট্রের এবং নিজের ব্যক্তিগত তরফে, রাষ্ট্রকে প্রমাণ রেখে টেনে নিয়ে এসেছেন একাজে। তাই মিজানুর রহমান ও বাংলার বেকুব স্যেকুলারকুলের এতো আনন্দিত হবার কিছুই নাই।

খামোশ!

Share

2 thoughts on “এ পি জে আব্দুল কালাম কেন ইফতার পার্টি দিতেন না!

  1. পিনাকী ভট্টাচার্য যুগের গিরিশ চন্দ্র সেন।

  2. স্যার আপনার লেখাগুলো আমি নিয়মিত ই পড়ার চেয়েষ্টা করি, এতে আমি অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারি,, সেই সাথে আপনার লেখা থেকে অন্যরাও সত্যকে জানতে ও বুঝতে পারে,,
    দোয়া করি, মহান আল্লাহ্ তা’লা যেন আপনাকে হেদায়েত দান করেন, এবং আমাদেরও সঠিক বুঝ দান করেন। আমীন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Feeling social? comment with facebook here!

Subscribe to
Newsletter