এরদোয়ান বাংলাদেশে কেন জনপ্রিয়? এর তালাশ করা তাদের কর্তব্য যারা সমাজ আর রাজনীতির হদিস রাখতে চান। মিলিট্যান্ট স্যেকুলারিজমের বিরুদ্ধে এরদোয়ানের উত্থান, সামরিক বাহিনীর স্যেকুলারায়িত করে ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর ক্ষমতা ধরে রাখার কৌশলকে রীতিমত ধাক্কা দিয়েছেন এরদোয়ান। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার সামরিক প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয়ার যে ধ্রুপদী জনপ্রতিরোধ তৈরি হয়েছিল তার নজির ইতিহাসে নেই। এরদোয়ান আজকের দুনিয়ায় একজন দক্ষ, আত্মমর্যাদাশীল, সাহসী আর জনপ্রিয় নেতা। তিনি মানুষকে আকৃষ্ট করবেন এতে কোন সন্দেহ নেই।
এরদোয়ান মিলিট্যান্ট স্যেকুলার নন আবার কট্টর ধর্মবাদীও নন। তিনি একজন আধুনিক রাষ্ট্রনায়ক যিনি তার ধর্মকে সাথে নিয়েই চলতে চান। ধর্মের সাথে তার শত্রুতা নাই বরং তুরস্কে স্যেকুলারিজমের নামে ধর্মের বিরুদ্ধে যে অন্যায় আচরণ করা হয়েছিল তিনি সেটার সংশোধন চান।
এই এরদোয়ানের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ তার ভবিষ্যৎ নেতার প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়। এরদোয়ানকে ভালোবেসে সে আসলে তার ভবিষ্যৎ নেতার জন্য ভালোবাসার ডালা সাজায়।
One thought on “এরদোয়ান এর মাঝে ভবিষ্যৎ নেতার প্রতিচ্ছবি।”
দাদা,কট্টর ধর্মবাদী বলে কী বোঝাতে চান আপনি? হয়ত সেক্যুলাররা মৌলবাদ বলে যা বোঝাতে চায়।অথচ একজন ধার্মিক জীবন দিয়ে মনে প্রাণে ধর্মকর্ম করবে এটাই তো স্বাভাবিক। আপনি খোলাফায়ে রাশেদার জীবনেতিহাস পড়েছেন আশা করি।তারা কিন্তু তথাকথিত ‘মডারেট ইসলামের’ প্রবক্তা ছিলেন না।আসলে ইসলাম স্বভাবগত উদারতা নিয়েই জন্মেছে।ইসলামের স্বভাবজাত উদারতা ও হালজমানার তথাকথিত ‘ইসলামী মডারেশন’ এর পার্থক্য অনেক।
মূলকথা,আপনি এরদোয়ানকে -আল্লাহ তাকে হেফাজত করুন -যেরূপ ভাবছেন, তিনি সেরূপ নন।