যেই এসেনশিয়াল ড্রাগ লিস্টের ওষুধ বিনামূল্যে বা স্বল্প মূল্যে রোগীদের সরবরাহের দায় সরকার নেয়না, সেই লিস্টে ১০০ টা ওষুধ থাকলেই কি আর ১০০০ টা ওষুধ থাকলেই কী?
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, দায় কেন সরকার নেয়না? এই প্রশ্নটা তো পলিটিক্যাল ডিসিশনের বিষয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের একটা বাজেট আছে। সে চাইলেই তো এই বাজেটের চাইতে বেশী খরচ করতে পারবে না। তাকে প্রায়োরিটি ঠিক করতে হয়। সেই প্রায়োরিটি অনুসারে তাকে বরাদ্দ করতে হয়, প্রায়োরিটি ঠিক করার পিছনেও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত থাকে, মরাল কোশ্চেন থাকেনা। তাকে দেখতে হয় এই বাজেটে কীভাবে সবচেয়ে বেশী মানুষের উপকার করা সম্ভব। আর আজকের দুনিয়ায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বাজেট প্রণয়ন ও প্রায়োরিটি নির্ধারনের বিষয়টা এককভাবে সরকারের হাতে থাকেনা, তাকে বৈশ্বিক পলিসির মূলধারার সাথে থাকতে হয়, দাতা দেশগুলোর পরামর্শ বিবেচনায় নিতে হয়। তার মানে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কোন পরিকল্পনাই বিনা চ্যালেইঞ্জে সে গ্রহন বা বাস্তবায়ন করতে পারেনা।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যের মুল সমস্যা এসেনশিয়াল ড্রাগ লিস্ট ছোট এটা নয়। স্বাস্থ্যের মুল সমস্যা ব্যয় বরাদ্দ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে একটা মান সম্পন্ন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য জিডিপির ৫% বরাদ্দ করার সুপারিশ করে আর আমরা করি ০.৭%। এটাকে সাত গুণ বাড়াতে হবে, নইলে কিছুই হবেনা।
আমরা আছে সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্যে ব্যয় বরাদ্দ বাড়ানো নিয়ে আর মহাজ্ঞানীরা আছে এসেনশিয়াল ড্রাগ লিস্টে ওষুধের সংখ্যা বাড়ানো নিয়ে। তাহলে কার চিন্তা গণ মানুষের উপকারে লাগছে ভেবে দেখুন।
সাধে কি বলি এই মহাজ্ঞানীদের বুদ্ধি বেশী কিন্তু আক্কেল নিদারুনভাবে কম।
লেখাটির ফেইসবুক ভার্সন পড়তে চাইলে এইখানে ক্লিক করুন