দেশটাকে লুন্ঠন করে ছিবড়ে বানিয়ে, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধংস করে, বিএনপি জামাত চলে আসবে এই জুজু দেখিয়ে জনসমর্থনহীন শাসককে মাথার উপরে জগদ্দল পাথরের মতো বসিয়ে রেখে, প্রতিবাদ প্রতিরোধের সকল গণতান্ত্রিক পথকে বন্ধ করে দিয়ে, বিচার বিভাগে নগ্ন হস্তক্ষেপ করে, জনগনের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়ার পরেও বাংলাদেশের বাম ও স্যেকুলারেরা বাংলাদেশে শুধু জংগিবাদ আর সাম্প্রদায়িকতার সমস্যা দেখেন। এদের সাক্ষাৎ শয়তান ছাড়া আর কী বলবেন?
সবচেয়ে হতাশাজনক হচ্ছে বাংলাদেশে যারা বামপন্থী নামে রাজনীতি করে তারা ইনিয়েবিনিয়ে বর্তমান শাসনের সমর্থন করে। তারা চোখের সামনে ফ্যাসিবাদ দেখেনা, কিন্তু ইসলামপন্থার উত্থান হচ্ছে বলে জিগির তোলে। তারা ফ্যাসিবাদী শাসন দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর স্যেকুলারিজম প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
বামপন্থার সন্মান রক্ষার জন্য এইসব পতিত শাসকের পদলেহী বাম নামের ফ্যাসিস্টদের তাদের কর্তৃত্ব থেকে উৎখাত করা তরুণ বামপন্থী কর্মিদের কর্তব্য।
আমি নাকি বামপন্থীদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াই!!! যেই দুর্বৃত্তরা বাংলাদেশের বামপন্থাকে হাইজ্যাক করেছে, বামপন্থাকে নাস্তিকতার সমার্থক বানিয়েছে, কর্মিদের ইসলাম বিদ্বেষের শিক্ষা দিয়েছে, লক্ষ লক্ষ নিবেদিতে বাম কর্মীর স্বপ্নের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, এদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ন্যায়সঙ্গত।
তরুণ বামপন্থীরা ইতিহাসের অংশ হতে চাইলে প্রতিক্রিয়াশীল বামপন্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করুন। মুখে সমাজতন্ত্রের কথা বললেই সে প্রগতিশীল হয়না। মার্ক্স লেনিন দুজনেই মার্ক্স লেনিন হয়ে উঠেছিলেন সো কল্ড লেফটদের সাথে লড়াই করতে করতেই।
তারা প্রায় পরাজিত। আসুন দেশে সাচ্চা বামপন্থার সুচনা করি।